সংবাদচর্চা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ ও নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে নিয়ে জাতীয় ও জেলার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতে প্রতিনিয়তই লেখালেখি হচ্ছে। তবে বিগত সময়গুলোতে গণমাধ্যেম গুলোতে এভাবে কখনোই কোন এসপি ও সাংসদকে নিয়ে লেখালেখি হয়নি। যার কারণ পূর্বে জেলায় যারাই পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করেছেন তারা সকলেই প্রভাবশালী সাংসদের সাথে সমঝোতার মাধ্যেমে নারয়ণগঞ্জকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
তবে বর্তমান পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পর মাদক, সন্ত্রাস, চাদাঁবাজ, ভূমিদস্যু এককথায় সকল অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তার ঘোষণা অনুযায়ী জেলার পরিমাণহীন ক্ষমতার অধিকারী ব্যাক্তিদ্বয়দের নিমিশেই আটক করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই জেলে রুটি আর গুড় দিয়ে জীবন যাপন করছেন। বাদ যায়নি প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমানের আতœীয়-স্বজনরাও। যার ন্যায় শামীম ওসমান বিভিন্ন সভা সমাবেশে এসপিকে উদ্দেশ্যে করে হুঙ্কার প্রদান করেছিলেন। এক কর্মী সভায় এসপিকে উদ্দেশ্যে করে তিনি এও বলেছিলেন যে আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যেই খেলা শেষ হয়ে যাবে। প্রভাবশালী এই সাংসদের হুঙ্কারের পরেও নিজের কর্মকান্ড থেকে পিছপা হননি এসপি। এসপিকে উদ্দেশ্যে করে একের পর এক বক্তব্যে দেয়ার পরেও গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস উপলক্ষে, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও সংগীত প্রতিযোগীতায় বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে সাংসদকে প্রশংসায় ভাসান হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, আমরা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন যাকে হিরো হিসেবে জানতাম সে আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শামীম ওসমান। তিনি এই এলাকার একজন কৃতি সন্তান। তিনি আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন নেতা।
সমসাময়িক সকল ঘটনার পরে জেলার সচেতন মহলের মতে, এসপি হারুন অর রশিদ তার দায়িত্বে কখনোই অবহেলা করবেন না। তিনি যতই সাংসদ শামীম ওসমানের সাথে হাস্যজ্জল থাকুক না কেনো অপরাধের বিষয়ে কোন তদবীর তিনি শুনবেন না। যদি তাই হতো তাহলে কখনোই নারায়ণগঞ্জের সিংহ পুরুষ অর্থ্যাৎ শামীম ওসমানের আতœীয় স্বজনদের নাম অপরাধীদের তালিকায় আসতো না। যদিও রাজনীতিতে নেতা হিসেবে শামীম ওসমানকে মানেন তবুও তিনি তার নীতিতে সবসময় অটুট থাকবেন।
এদিকে রাজনৈতিক বোদ্ধামহলের মতে, নারায়ণগঞ্জের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই সুন্দর। কারণ এসপি যোগদানের পর থেকে অপরাধীরা পালাতে শুরু করেছে। কমে এসেছে সন্ত্রাস কমেছে মাদক। বর্তমান এসপি আরও কয়েকমাস জেলায় থাকলে নারায়নগঞ্জ জেলা একটি মডেল জেলাতে পরিণত হবে। যেখানে থাকবে না কোন সন্ত্রাস থাকবে না অপরাধ। রাইফেল ক্লাবের অনুষ্ঠান ছাড়াও এর আগে বেশ কয়েকবার এসপি ও সাংসদকে একত্রিত হতে দেখা গেছে, হাস্যজ্জলও দেখা গেছে। আগামীতেও তাদের সর্ম্পক ভালো থাকবে। আগামীতেও তাদেরকে এক টেবিলে দেখা যাবে।
এদিকে জেলার সাধারণ মানুষের মতে, নারায়ণগঞ্জকে একটি মডেল জেলা হিসেবে পরিণত করতে এসপির ভূমিকা অপরসীম সেই সাথে শামীম ওসমানের অবদানও কম নয়। সকলে মিলে মিশে আলোচনার মাধ্যেমে সব সমস্যার সমাধান করলেই একটা সময় নারয়ণগঞ্জ সারা দেশের মধ্যে একমাত্র জেলা হবে যেখানে কোন অপরাধ নামক শব্দ থাকবে না।