আজ মঙ্গলবার, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মিথ্যা অভিযোগে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে : সংবাদ সম্মেলনে অসহায় শিক্ষক ইসমাইল

নিজস্ব প্রতিবেদক

কান্না বিজড়িত কণ্ঠে এক দিনের জন্য হলেও নিজের হৃত সম্মান ফেরত চায় মিথ্যা অভিযোগের স্বীকার হওয়া অসহায় শিক্ষক মো: ইসমাইল হোসেন ভুঁইয়া। তিনি ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র গণিত শিক্ষক। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ’সাময়িক বরখাস্তের’ নামে দীর্ঘ ১৭ বছরেরও বেশী সময়ধরে তাকে বিদ্যালয়ের চাকরী থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ এখনো পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের কাছে সাহায্যে চেয়ে ওই অভিযাগগুলো করেন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষকতা জীবনে আমি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি এবং অতি জনপ্রিয় শিক্ষক হওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সহ কিছু অসাধু সদস্যের চক্ষুসলে পরিণত হয়। এরই পরিণতিতে তারা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে বিদ্যালয় থেকে বের করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। আজ থেকে দীর্ঘ ২৫ বৎসর পূর্বে অর্থ্যাৎ ১৯৯৪ সালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তারা আমাকে বিদ্যালয় থেকে অব্যহতি দেয়।

ওই মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি মামলা দায়ের করলে জজ আদালতে আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালের শেষদিকে আমি আবারও বিদ্যালয়ে যোগদান করি। ওই সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমি কিভাবে বিদ্যালয়ে কাজ করি তা দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। আবারও মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০০২ সালে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আমি আবারও জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী আপিল করি। সাময়িক বরখাস্তের নামে আমাকে দীর্ঘ ৪ বছর বিদ্যালয়ের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখে তারা।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল ২০১৯ আমার অবসর গ্রহণের তারিখ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে যেকোন মূল্যে বিদ্যালয়ে যোগদান হতে বিরত রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি অনৈতিকতা ও জিঘাংসার এমন পর্যায়ে পৌছে গেছেন যে, সুপ্রীম কোর্টের বরাত দিয়ে মিথ্যা বলতেও তিনি কুণ্ঠাবোধ করছেন না। তাদের অন্যায় ও বেআইনী আচরণের ফলে আমি এবং স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে আমার পরিবার হতাশ ও বিদ্ধস্ত হয়ে গেছি। সারাজীবন প্রাইভেট পড়িয়ে কোনমতে সংসার চালিয়ে আজ আমি ক্লান্ত ও পরাজিত।

’সাময়িক বরখাস্তের’ নামে দীর্ঘ ১৭ বছরেরও বেশী সময়ধরে তাকে বিদ্যালয়ের চাকরী থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। অথচ এখনো পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। আর মাত্র তিন দিন পর আমার অবসর গ্রহণের দিন। আমি একদিনের জন্য হলেও বিদ্যালয়ে যোগদান করে আমার হৃত সম্মান ফেরত পেয়ে সম্মানের সাথে অবসর গ্রহণ করতে চাই। দয়া করে আমাকে সাহায্যে করুন।