আজ মঙ্গলবার, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সম্পত্তি ফিরে পেতে বিধবা নারীর সংবাদ সম্মেলন

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

সম্পত্তি ফিরে পেতে অসহায় বিধবা নারী সংবাদ সম্মেলন করেছে। বৃহষ্পতিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে ফরিদা আক্তার নামে এক মহিলা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফরিদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী ১৩ বছর আগে মারা গেছে। আমার চার ছেলে দুই মেয়ে নিয়ে আমার স্বামীর ঘরে শান্তিতে বসবান করে আসছিলাম। কিন্তু আমার তৃতীয় ছেলে তানভীর আহমেদ সোহেল ২০১২ সালে একদিন হঠা’ সম্পত্তি লিখে দেওয়ার কথা বলে সবার কাছে থেকে সই নেয়।   আমার বড় ছেলে ডেনটি বর্তমানে জাপানে অবস্থান করছে। এমন কি ওই দলিলে কি লেখা আছে আমাদের বুঝতে দেয় নি। পরবর্তীতে এ ঘটনার ২ বছর পরে জানতে পারি আমাদের নামে না দিয়ে সম্পত্তি উল্টো প্রতারণার মাধ্যমে আমাদের সম্পত্তি আমার বড় ছেলে ডেনটির নামে লিখে নেয়। পরবর্তীতে আমার তৃতীয় ছেলে সোহেলের নামে লিখে নেয়।  তার পর আমার উপর চলে অত্যাচার নির্যাতন। আমার স্বামীর ঘরে ডুকতে দেয় না সোহেল। ডুকতে চাইলে আমার ছেলের স্ত্রী সায়মা আহমেদ আমাকে বলে তোর হাত পা ভেঙে দেব । আর এই ঘরে ডুকলে তোর হাত পা ভেঙে কেটে লাশ গুম করে ফেলব । আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে সোহেলের ব্যবসায়ী পাটনার নাসিক ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান ও শারমিন আমীরের সহযোগিতায়  সম্পত্তি বিক্রি করতে শুরু করে। তাদের এ রূপ কর্মকান্ড দেখে আমি আদালতের স্বণাপর্ন হই। সম্পত্তি ফিরে পেতে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলা করা হয়। যার  মামলা নং দেওয়ানী কার্যবিধি ৯২- ২০১৮ ।এর মধ্যে নতুন করে আমাদের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর দুলাল প্রধান আমার ছেলে সোহেলের সাথে হাত মিলায় আমার দেবরের মেয়ে শারমিন আমির ।

তিনি বলেন শারমিন আমির আমাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী এবং হুমকি দেয়। র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল শেখ রেহেনার মেয়ে টিউলিপের নাম বিক্রি করে আমাদের হয়রানী করছে । এমন কি প্রশাসন কেউ নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে শোনা যায়। এদের পরিচয় দিয়ে আমার দ্বিতীয় ছেলে সাব্বির আহমেদ হিমেলের নামে বন্দর থানায় একের পর এক মিথ্যা মামলা  করে হয়রানী করছে  । আমার তৃতীয় ছেলে সোহেলের স্ত্রী সায়মা আহমেদ আামার দেবরের মেয়ে শারমিন আমির এবং  কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের প্রভাবে আমাদের ভয়ভীতি দেখায় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। আমি এখন বাঁচতে চাই। প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতায় আমি আমার স্বামীর সম্পত্তি ফিরে পেতে চাই।

প্রসঙ্গত ফরিদা বেগম বন্দর থানার সামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ রোর্ডের  মোশারফ হোসেনের মেয়ে।