এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে’র ঠিকাদার মুছা দীর্ঘ দিন যাবত নিম্ন মানের খাবার পরিবেশন করে আসছে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে সকালের নাস্তা প্রতিদিন সকাল ৯টার পর থেকে রোগীদেরকে দেওয়া শুরু করে। যে খাবার দিয়ে যায় তা রোগীদের খাওয়ার অযোগ্য।
লোহাচুড়া গ্রামের রওশন আলীর ছেলে মুছা হাসপাতালের খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদার হিসাবে প্রতিদিন নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করে আসছে।
রোগীরা অভিযোগ করে বলেন, দুপুরের খাবার খাওয়ার অযোগ্য ও নিম্নমানের ভাত ও তরকারী রোগীরা সে সব খাবার খেতে না পেরে তা ফেলে দেয় ডাস্টবিনে।
চন্ডিবর্দী গ্রামের বাচ্চু সরদার বলেন, তিন বেলা খাবার নিম্ন মানের যা খেলে সুস্থরোগী অসুস্থ হয়ে যাবে। সকালের নাস্তা নাম মাত্র, দুপুরের খাবার নিম্নমানের রাতে পচা ও র্দূগন্ধ খাবার পরিবেশন করে। তাই আমার পরিবারের সদস্যরা নিজ বাড়ী থেকে খাবার নিয়ে আসে।
এলাকার রোগীর আত্মীয় সুমন জানান, হাসপাতালে যারা খাবার পরিবেশন করে তাদের কে কিছু বলাই যায় না। একটুতেই তারা রেগে যায় আর খাবার ধরে বেডের ফেলে দেয়, তারা বলেন খেলে খাবেন না খেলে ফেলে দেন।
ঠিকাদার মুছা প্রতিদিন সরকারি খাবার তালিকা অনুযায়ী হাসপাতালের আরএমও, ডায়েট ইনচার্জ, ফ্লোর ইনচার্জ ও বার্বুরচিকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা তিনি তা না করে বার্বুচীকে বুঝিয়ে দিয়ে চলে যান।
এ ব্যাপারে আরএমও ফ্লোর ইনচার্জকে বার বার বলার হলেও কোন ফল হয়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার মুছার নিকট ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকারি তালিকা অনুযায়ী যেটা দেওয়ার কথা আমি সেটাই দিয়ে আসছি।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার টেলিফোনে একাধিক বার কল দিলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনী। পরে অফিস সূত্রে জানা যায় তিনি ছুটিতে রয়েছেন এই কারণে তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।