সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রানা প্লাজা ধ্বসের ৬ষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রী শহীদ মিনারে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ,সমাজতান্ত্রিক গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ,সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম গোলক, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম শরীফ, কাঁচপুর শাখার সভাপতি আমানউল্লাহ আমান, সিদ্দিরগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সোহাগ, বিসিক শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সাঈদুর, রূপগঞ্জ শাখার সভাপতি সোহেল, গাবতলী-পুলিশ লাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসনাত কবীর, নারায়ণগঞ্জ জেলার দপ্তর সম্পাদক কামাল পারভেজ মিঠু।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘রানা প্লাজা ধ্বসে শ্রমিকরা মারা গেছে তা সারাদেশ জানে কিন্তু সারা বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত মালিকদের কাছে, মজুরী দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধিত হয়ে শ্রমিকরা নির্যাতিত হচ্ছে সেই খবর দেশেবাসীর জানা নেই। দৈনদিন জিনিসপত্রের মূল্য বাড়ছে কিন্তু শ্রমিকের মজুরি বাড়ছে না। মজুরি তো দূরে কথা বছরের পর বছর যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছে সে প্রতিষ্ঠান দুই তিন মাসের বেতন না দিয়েই বন্ধ করে দিচ্ছে। সারাদেশে শ্রমিক নির্যাতনের মহা উৎসব চলছে।’
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সরকার বলছে প্রত্যেক নাগরিককে শিক্ষিত হতে হবে। কিন্তু শিক্ষা যেই ব্যয়বহুল শ্রমিকরা কিভাবে তাদের স্বল্প বেতনের মধ্যে তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করবে। তাহলে আপনারা কি বলছেন কোনো শ্রমিকের সন্তান লেখাপড়া করতে পারবে না। আবার বলছেন প্রত্যেক শিশুর শিক্ষার অধিকার আছে। তাহলে শ্রমিকদের শিক্ষা ভাতা কই? দুই সন্তানের শিক্ষার ব্যয় অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরী নির্ধারণ করা হোক। সরকার মজুরী নির্ধারণ করার পরপরই কারখানা বন্ধ করা শুরু হয়। যে মালিকের একাধিক প্রতিষ্ঠান আছে তাদের কারখানা বন্ধ করা হচ্ছে। এবং কাজ অন্য কারখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশ ও সাংবাদিকদের বলছে, কাজ নেই। শ্রমিকরা আন্দোলন করছে চলে যাচ্ছে। তার কিছুদিন পর আবার প্রতিষ্ঠান চালু করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি কারখানায় শ্রমিকদের একই নির্যাতন।’
।