নিজস্ব প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ পন্থী আইনজীবীদের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী, আইনজীবী সন্তানদের জিপিএ-৫, যাদের আইনপেশায় ২৫বছর পূর্তি ও সাবেক সভাপতি সাধারণ সম্পাদকদের সম্মাননা প্রধানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট মোঃ আলাউদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ বেগম হোসনে আরা আকতার, বিশেষ অতিথি ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক মোঃ আমজাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সহিদুল ইসলাম ও জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানে ৪টি বিষয়ের মধ্যে প্রথম তালিকা ছিল বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী। কিন্তু সমিতির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু প্রথমে আইনজীবীদের সন্তানদের যারা জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান শুরু করেন। পরে সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণের সম্মাননা ও আইনপেশায় ২৫ বছর পূর্তি আইনজীবীদের সম্মাননা প্রদানে সঞ্চালক হিসেবে মাইকে ঘোষণা করেন। এতে দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলে অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থান ত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
ওই সময় ক্রীড়া সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মমিন একাধিকবার হাবিব আল মুজাহিদ পলুকে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী আগে করতে অনুরোধ করেন। ওই সময় হাবিব আল মুজাহিদ পলু ক্ষুব্দ কণ্ঠে মাহামুদুল হক মমিনকে ‘পাগল হয়ে গেছ’ বলে চুপ থাকতে বলেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুষ্ঠানস্থল থেকে সরে যান মমিন।
ওই ঘটনার পর অনুষ্ঠানে শেষ পর্যায়ে অতিথিদের স্থান ত্যাগের পর সোয়া ৩টায় হাবিব আল মুজাহিদ পলুর দিকে তেড়ে যান মমিন। এতে দুই জনের মধ্যে তুমুল বাকবিতন্ডা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপস্থিত আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা মমিনকে সরিয়ে নেয়।
তবে এ ব্যাপারে দুইজনই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মমিন জানান, তিনি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার আগে দিতে বললেও সেটা কর্ণপাত করেনি। এ নিয়ে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল পরে সেটা মিটমাট হয়ে গেছে।
আর হাবিব আল মুজাহিদ পলু বলেন, আসলে নিউজ করার মত কিছুই ঘটেনি। আমি আমার জুনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মমিনকে পাগল বলিনি। আর পরবর্তীতে চেয়ার লাথি মারাসহ যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলো আমাকে উদ্দেশ্য করে ঘটেনি।