আজ শনিবার, ১৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিহত আরজু বেগমের মেয়ে শিশু বাধঁনকে হত্যার হুমকি

নিজস্ব প্রতিবদক
তরা যদি মামলা না উঠাস তাহলে তর মায়ের মত তরেও মাইরা ফালামু। জল্লার পাড়া এলাকায় কোচিং পরতে যাওয়ার পথে জাকির রাস্তায় থামিয়ে আমাকে এই কথা বলে হুমকি দিচ্ছে গতকাল গনবিদ্যা নিকেতন স্কুলের সামনে এমটাই জানিয়েছেন নিহত আরজু বেগমের মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া বাধঁন। এছাড়া বাধঁন আরো বলেন, জাকির আমাকে বলছে কইস মামলাটা ওঠায় নিতে আর নয়তো জামেলা হয়বো। বাঁধন হামলার ঘটনার বিষয়ে বলেন, প্রথমে বিদ্যুতের শক ও পরে পানি ঢেলে আমার মাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বাড়ির সামনে মিছিল ও গান-বাজনা হচ্ছিল এরই মাঝে আমার মাকে টেনে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর ও পরবর্তীতে হত্যা করেছে তারা। এছাড়া হামলায় আরো ৮জন আহত করা হয়েছে। আমার মায়ের হত্যাকারীরা যেন ঘুরে না বেড়াতে পারে ও তাদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই।

এছাড়া ৫ এপ্রিল সকালে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে গনবিদ্যা নিকেতন স্কুলে শিক্ষার্থীরা মানব বন্ধন করে গ্রেফতাকৃত আসামীদের শাস্তি দাবি করেন এবং পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানায়।

মামরার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদশক আলাউদ্দিন দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন মামলার যে সকল পলাতক আসামী রয়েছে তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অবিযান চলছে। এছাড়া যদি কেউ নিহত আরজু বেগমের মেয়েকে হুমকি প্রদান করে তাহলে তাদের থানায় ডায়েরি করা দরকার। এবং আমরা বিষটি তদন্ত করে দেখবো।

উল্লেখ্য,গত ২৯ মার্চ বিকেলে টানবাজারের র‌্যালি বাগান এলাকায় মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় আরজু বেগমকে হত্যা করা হলে ঘটনার দিন রাতেই সাদ্দাম মিয়া বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ্য সহ আরও ২০ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার আসামি

রমজান, পপি, হাসিনা, সাহের বানু, সোনিয়া আক্তার, শফিকুর রহমান ও সাহাবুদ্দিন ৭ রিমান্ডের মঞ্জুর করে। এছাড়া আইনজীবী দুই আসামি এড. হামিদা খাতুন লিজা ও আসমা আক্তারকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।