আজ শনিবার, ১৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মায়ের খুনিদের ফাঁসি চায় শিশু বাঁধন

নিজস্ব প্রতিবেদক,

গত ২৯ মার্চ বিকেলে টানবাজারের  র‍্যালী বাগান এলাকায় মাদক নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি আরজু বেগমকে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় বিদ্যুতের শক দিয়ে হত্যা করা হয়। ৫ সন্তানের জননী আরজু বেগমের সন্তানের মধ্যে ৪ মেয়ে ও ১ ছেলের মধ্যে কনিষ্ঠ কন্যা শিশু বাঁধন। মায়ের কোমল আদর ও যত্নে বেড়ে উঠা শিশু বাঁধন প্রাইমারী বা শিক্ষার প্রাথমিক স্তর পার করে গণবিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যায়ন করছে।

বাঁধন উপস্থিত থেকে দেখেছে কিভাবে তার মাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। বুকে পাঁথর চাপা কষ্ট নিয়ে কান্না ও আহাজারিতে বর্ণনা দিয়েছে দৈনিক সংবাদচর্চার এই প্রতিবেদকের কাছে।

বাঁধন জানায়,বাহিরে মারামারি চলতেছিল দেখে সে তার ঘরে ছিল। কিন্তু একটু পর দেখে তার মা (আরজু বেগম) কে নির্মমভাবে মারধর করা করা হচ্ছে। প্রথমে বিদ্যুতের শক ও পরে পানি ঢেলে তার মাকে হত্যা করা হয়েছে। সে আরও জানায়, আমাদের বাড়ির সামনে মিছিল ও গান-বাজনা হচ্ছিল এরই মাঝে আমার মাকে টেনে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর ও পরবর্তীতে হত্যা করা হয়েছে।

আমার মা মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন বলে আজ তাকে হারাতে হয়েছে, আমি আমার মায়ের আদর ও ভালোবাসা হারিয়েছি। আমি আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই, যারা আমার মাকে  হত্যা করেছে সকলের ফাঁসি চাই। আমার মাকে ফিরে পাবো না তা আমি জানি, মায়ের হত্যাকারীরা যেন ঘুরে না বেড়াতে পারে ও তাদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই।

আমায় মা আমাকে খুব কষ্ট করে পড়াশুনা করাতো, আমি আমার মায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই, অনেক বড় হতে চাই।

উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ বিকেলে টানবাজারের র‍্যালি বাগান এলাকায় মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় আরজু বেগমকে হত্যা করা হলে ঘটনার দিন রাতেই নিহতের মেয়ের জামাতা সেলিমা মিয়া বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ সহ আরও ২০ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করে।এর প্রেক্ষিতে ১লা এপ্রিল সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে

মামলার রিমান্ড শুনানি হয়, শুরুতে বিচারক গ্রেফতার ৯ আসামিকে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করলেও পরে আইনজীবীদের আপত্তি ও রিভিউ আবেদন করেন। পরে আবেদনের প্রেক্ষিতে এই মামলার আসামি দুইজন আইনজীবীর রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

রিমান্ডে নেওয়া ৭ আসামি হলেন রমজান, পপি, হাসিনা, সাহের বানু, সোনিয়া আক্তার, শফিকুর রহমান ও সাহাবুদ্দিন। এছাড়া আইনজীবী দুই আসামি এড. হামিদা খাতুন লিজা ও আসমা আক্তারকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।