সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলাধীন লাঙ্গলবন্দ মহাতীর্থ অষ্টমী পূর্ণ স্নান সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তরা বলেন, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ পূণ্য স্নান সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ উৎসবকে সম্পন্ন করতে সকলেই যার যার নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও নিরাপত্তার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থায় ৭টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হবে এবং নৌ-পথেও মেডিকেল টিম ও পুলিশের ব্যবস্থা করা হবে।
এসময় জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম, এফবিসিসিআইএ’র পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, পূজা উদযাপন পরিষদ জেলার সভাপতি সরোজ সাহা, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন, বাসুদেব চক্রবর্তী, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, বন্দর ঘাড়মোড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ, সোনারগাঁ পৌর কাউন্সিলর মনি আক্তার, রনজিৎ মন্ডল, সোনারগাঁ থানা পূজা উদযান পরিষদের সভাপতি লোকনাথ দত্ত, শ্যামল দত্ত, রিপন ভাওয়াল সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রসঙ্গত হিন্দু সম্প্রদায় স্নান উৎসব বিগত ৪১ বছর ধরে পালন করে আসছে । মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নানে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সমিতির সেবাকেন্দ্রে অন্নপণ্য ঘাট ও মন্দির সংলগ্নে অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৮৮ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত বিশ্বহিন্দু মহাসংঘের সম্মেলনে বিশ্বেও সকল হিন্দুর জন্য এক ধর্ম,এক বর্ণ,এক সমাজ এক সংস্কার শ্লোগানটি গৃহীত হয় । অশাস্ত্রীয় বর্ণভেদের ফলে সৃষ্ট নানাবিধ সমস্যা ,ধর্মীয় ক্রিয়া-কর্ম আনুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ , ছুঁৎমার্গ প্রভৃতি কুসংস্কার দূরীকরন তথা সামাজিক সৌহার্দ কল্যান শক্তি ও প্রগতির লক্ষে এক ধর্ম ,এক বর্ণ , এক সমাজ , এক সংস্কার ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি গঠিত হয় ।