আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বেকারী

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:  ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বেকারীর কারখানা। ঠাকুরগাঁও জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় বেকারীর ব্যবসার প্রবণতা বেশি। আইন প্রয়োগ সংস্থা থাকলেও নেই তদারকি। নাম-ঠিকানাহীন এসব কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাবার সামগ্রী তৈরী করে বাজারজাত করলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে নীরব।

য়ার ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় মানহীন বেকারীর কারখানার সংখ্যা বেশি। দুইটি কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, একটির নাম বগুড়া বেকারী, আরেকটি হচ্ছে সাথী র্বেড এন্ড বিস্কুট ফেক্টরী। পীরগঞ্জ বীরগঞ্জ সডকের ধারে মাসালডাংগী ব্রীজের পার্শ্বে বগুড়া বেকারী নামে কারখানা তৈরী করেছে আ: খালেক নামের এক ব্যক্তি। নবাব নামে এক ব্যক্তি সাথী ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফেক্টরী পীরগঞ্জ উপজেলার ৯ নং সেনগাঁও ইউনিয়নের গোদাগাড়ী হাটে দের্দাসে নোংরা পরিবেশে চালাচ্ছে। বেকারীগুলোতে নিম্নমানের পাউরুটি, জেলিবন, বিস্কুট, মিষ্টি সিংগাড়া, কেক, বিভিন্ন প্রকারের টোস্ট, সলটেচ, ড্রাই কেক, চানাচুরসহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী তৈরী করে দেদারসে বাজারজাত করছে। ইটভাটার গাড়ীর ধূলাবালি খাবারের মিশে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। দুর্গন্ধযুক্ত বেকারীর কারখানাতে প্রবেশ করে দেখা যায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ঘর্মক্তাবস্থায় শ্রমিকরা গাবস ছাড়াই সিগারেট হাতে পাউরুটি, টোস্ট বিস্কুট, মিষ্টি, সিংগাড়া ও অন্যান্য ফাস্টফুড খাদ্য সামগ্রী তৈরী রেছেন। মিষ্টি, সিংগাড়ার রসের পাত্রে ভন-ভন করছে মাছি। ঘরের কোনায় চৌকির নীচে অন্ধকার ও অপরিস্কার স্থানে সিংগাড়াগুলো রাখা হয়েছে। সেখানেও ভনভন করছে মাছি। সেইসাথে পরিশোধিত ফয়েল পলিপ্যাক ছাড়াই নিম্ন মানের অপরিশোধিত পলিপ্যাকে কেরোসিনের কপি জ্বালিয়ে পাউরুটি সহ তৈরী খাদ্য সামগ্রী প্যাকেটজাত করা হচ্ছে।

প্যাকেটগুলোতে বেকারীর নাম, উৎপাদন, মেয়াদোত্তীণের্র তারিখ লেখা নেই। নেই বিএসটিআই’র অনুমোদন। এ বিষেয়ে বগুড়া বেকারীর মালিক আব্দুল খালেক বলেন, কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে বেকারী চালাচ্ছি। তৈরীকৃত খাদ্য সামগ্রীর বিএসটি আই’র অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই উপজেলায় কোন বেকারীর বৈধ অনুমোদন নেই প্রতি মাসে থানায় টাকা দিয়ে থাকি।

এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন, তথ্য পেলে আমরা ভ্রাম্যমান আদালতের ব্যবস্থা করব ।