আড়াইহাজারে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন মোল্লা উপজেলা নির্বাচনে নানা কারচুপি, প্রশাসনের অসহযোগিতা, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগ করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন৷ এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
রোববার (৩১ মার্চ) বিকেল ৪টায় উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা জানান৷
আড়াইহাজারে ভোট ডাকাতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে অনেক হুমকি-ধামকির পর আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি৷ কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি৷ সকাল থেকে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই চলছিল৷ কিন্তু নির্বাচন শেষ হবার ১ থেকে দেড় ঘন্টা আগে থেকে অবৈধভাবে ব্যালট পেপারে সিল দেয় নৌকার সমর্থকরা৷ প্রতিটি কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টকে বের করে দিয়ে এ কাজ করেছে তারা৷
এতো হুমকি-ধামকির পরেও আনারসকে দাবায়া রাখা যায়নি যার কারণে তারা ভোট মাইরা নিতে বাধ্য হইছে৷ আমি ভোট বর্জন করেছি৷ আপনারা জানিয়ে দেন ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করে ভোট বর্জন করেছে আনারসের প্রার্থী৷ আমি পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে প্রেস কনফারেন্স করবো৷
তিনি অভিযোগ করেন, ওনার (নৌকা প্রার্থী) লোকেরা আমার এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিছে৷ এমপি সাহেবের পিএস ওলিসহ ওনার লোকেরা ভোট কেন্দ্রে ঢুকে নৌকার পক্ষে অবৈধভাবে সিল মেরেছে৷
এদিকে নৌকা প্রার্থী অভিযোগ করে বলেছিলেন, আড়াইহাজার মডেল স্কুলে নৌকার এজেন্টের গলা চিপে ধরেছিল আনারস মার্কার প্রার্থী৷ এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইকবাল মোল্লা বলেন, নৌকার এজেন্ট আমার সামনে দাড়িয়ে এক ভোটারকে বলেছিল, নৌকার ভোট তাদের সামনে মারতে হবে৷ আমি তখন তাকে সরিয়ে দিয়েছি, এর বেশি কিছু না৷
প্রসঙ্গত, সরকারি সফর আলী কলেজ ভোট কেন্দ্রটিতে ভোট দেয়ার পরও আবারো কৃত্রিম লাইন তৈরি করে জাল ভোট দেয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রের পাশে বসে আছেন নারী ভোটাররা৷ চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী নৌকা ও আনারস দুই প্রতীকের কার্ডধারী নারী আছে সেখানে৷ জিজ্ঞেস করলে কয়েকজন নারী জানান, কৃত্রিম লাইন তৈরি করে জাল ভোট দেয়ার জন্য ৫০০ টাকা করে দেয়া হচ্ছে তাদের৷ এছাড়া সপ্তম শ্রেণির আফজাল নামে এক স্কুল ছাত্রকে জাল ভোট প্রদানের সময় আটক করা হয়৷
এ সময় ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের কক্ষে আড়াইহাজার পৌরসভার মেয়র সুন্দর আলীকে বসে থাকতে দেখা গেছে৷