আজ শুক্রবার, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দেওয়ানবাগী হুজুর বেঁচে নেই প্রমাণ করতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেওয়ানবাগী হুজুর বেঁচে নেই প্রমাণ করতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আশেকে রাসুল পরিষদের সমন্বয়ক গোলাম হাবিব উল্লাহ।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল হাজ্বী রজব আলী সুপার মার্কেটস্থ জমিয়াতুল ইব্রাহীম দারুল উলুম মাদ্রাসার উদ্যোগে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করতে গিয়ে আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী বলেন দেওয়ানবাগ শরীফের প্রতিষ্ঠাতা সুফী সম্ম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর বেঁচে নেই, তিনি মারা গেছেন। এর প্রমান আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সীর নিকট আছে। কেউ যদি জনসম্মুখে দেওয়ানবাগী হুজুরকে উপস্থিত করতে পারে তাহলে নান্নু মুন্সী তাকে ১০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেবেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নান্নু মুন্সীর এই অসত্য, মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্যের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিবেচক এই ব্যক্তিটি দীর্ঘদিন যাবত দেওয়ানবাগী হুজুরকে নিয়ে একের পর এক মিথ্যা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে সে সমাজে এক বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একজন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বলে প্রচার করা কোন সুস্থ সুরুচিসম্পন্ন বিবেকবান মানুষের পক্ষে সম্ভব কি? তাঁর এই ঘৃণ্য কর্মকান্ড প্রমাণ করে যে, সে একজন মানষিক বিকারগ্রস্থ এবং কুরুচিসম্পন্ন ব্যক্তি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সুফী সম্ম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরকে আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি মৃত বলে প্রচার করে যাচ্ছে। অথচ দেওয়ানবাগী হুজুর আজও ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলস্থ বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফ থেকে মোহাম্মদী ইসলাম প্রচার করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ তাঁর সাথে সাক্ষাতের জন্য ছুটে আসছেন। সুফী সম্ম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর প্রতি শুক্রবার বাদ জুমা উপস্থিত সহ¯্রাধিক মুসল্লিদের উদ্যেশ্যে ইসলাম ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকেন।

আমি নিজেও প্রতি শুক্রবার তাঁর আলোচনা শোনার জন্য বাবে রহমতে আসি। সুতরাং একজন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বলে প্রচার করা কোন সভ্য মানুষের পক্ষে সম্ভব কি?

আশেকে রসুল পরিষদ সমন্বয়ক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করে, সুফী সম্ম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিলেন। এমন সূর্য্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে বানোয়াট মিথ্যা তথ্য প্রচার করা কোন শান্তিকামী মানুষের কাম্য নয়। হযরত রাসূল (সাঃ) বলেন “মিথ্যা হলো সকল পাপের জননী।” দেওয়ানবাগী হুজুরকে নিয়ে নান্নু মুন্সীর এরুপ মিথ্যা অপপপ্রচার আল্লাহ রাসুলের হাদীস অনুযায়ী প্রমান করে নান্নু মুন্সী একজন পাপিষ্ঠ ব্যক্তি। এ ধরনের ব্যক্তি শুধু সমাজের নয়, গোটা দেশর জন্য হুমকি স্বরুপ।

তাই এই দেশের বিবকবান মানুষের প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান থাকবে লাখো কোটি প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নান্নু মুন্সীর মতো মিথ্যাবাদীদের পরিহার করা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হয়। যেন ভবিষ্যতে নান্নু মুন্সীর মতো মিথ্যাবাদী বাংলার জমিনে আর জন্মগ্রহণ না করে।

তিনি উল্লেখ করেন, পরিশেষে আমি ঘোষণা দিলাম, যে প্রমান করে দিবে দেওয়ানবাগী হুজুর বেঁচে নেই, তাকে আমি ৫০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দিবো।