বিল্লাল আহমেদঃ
চিনির পরিবর্তে বিষের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে অসাধু ব্যবসায়ীরা চিনির পরিবর্তে বিষ খাওয়াচ্ছে। জাতীয় খাদ্য চিনি কিন্তু সেই চিনির পরিবর্তে নিষিদ্ধ সোডিয়াম সাইক্লামেট হাজার হাজার টন আমদানি হয়ে দেশে ঢুকছে কিভাবে? ঘন চিনি আমদানি হচ্ছে। কিন্তু এই সাইট্রিক এসডি হচ্ছে বিষ। ঘন চিনি দেয়া হচ্ছে, মিষ্টিতে, বেকারি আইটেম খাবারে, আইসক্রিমে, বেভারেজ, জুস, চকলেট, কন্ডেন্সড মিল্ক প্রভৃতি মিষ্টি খাবারে। আর এ সকল খাবার খেয়ে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
দেশের জাতীয় খাদ্য দ্রব্য হচ্ছে চিনি কিন্তু জাতীয় চিনির চেয়ে প্রায় পঞ্চাশ গুণ বেশি মিষ্টি ঘন চিনি। এই ঘন চিনি খেলে ক্যান্সার, কিডনি বিকল, হজম শক্তি হ্রাস নানাবিধ জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। ঘন চিনি পৃথিবীর অনেক দেশেই নিষিদ্ধ। এই ঘন চিনির মত হুবহু এক রকম সাইট্রিক এসডি। অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি সহজেই সাইট্রিক এসডি নামে ও কোডে ঘন চিনি আমদানি করছে। জানা গেছে ঢাকার মিটর্ফোড হাসপাতালেও এই বিষ নকল চিনি আমদানি হচ্ছে বলে গনমাধ্যামে উঠে এসেছে। সবচেয়ে উল্লেখ্য ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার! দেখতে চিনির মত দানাদার, কিন্তু এর দাম কম ১৫/২০ টাকা কেজি এবং স্বাদহীন। এই ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার ঘন চিনির সাথে মিশিয়ে মানুষের কাছে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
রসায়ন বিজ্ঞানীদের সূত্রে জানা গেছে সার খেলে পৃথিবীর এমন কোন রোগ নেই যে হবে না এবং শিশুদের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাদ্য তৈরিতে র্দীঘদিন ধরে ঘন চিনির ব্যবহার করা হচ্ছে। এর সাথে এই বিষ রাসায়নিক সার ম্যাগনেসিয়াম সালফেট মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে। এসকল বিষ খেয়ে মানুষের অসুস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ থেকে মুক্তি চায় নারায়ণগঞ্জ বাসি।নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে চিনি নামে বিষ। ভোক্তরা প্রশাসনের অভিযান চায় দোকানগুলোতে।
এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম খান দৈনিক সংবাদচর্চাকে জানায়, বাংলাদেশের জমিতে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সারের ব্যবহার অনেক কম। কোন কোন জায়গায় সামান্য পরিমানে ব্যবহার করা হয়। এই সার মানুষ যদি খায় তাহলে ব্যাপক ক্ষতি করবে এবং এতে মৃত্যুর ঝঁকি রয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যুথিকা সরকার দৈনিক সংবাদচর্চাকে জানান, আমরা লবনের ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি তখন জেনেছি ম্যাগনেসিয়াম সালফেটের দাম কম হওয়ায় লবন প্রস্তুতে ব্যবহার করা হয় তাই আমরা অভিযান করেছি। তবে জানতাম না যে ঘন চিনিতেও ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ব্যবহার করা হয়। এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।