নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি সাজাপ্রাপ্ত আসামি আছে। তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, ‘কোনও অবৈধ কিছু আমরা করতে দেবো না।’
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত ‘মাদক, সন্ত্রাস ও অবৈধ দখলমুক্ত করতে করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নগর ভবনে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ অডিটরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনের অভিযানে আমরা যেমন সফল হয়েছিলাম, তেমনই জনগণের সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে আমরা মাদক নিয়ন্ত্রণেও সফল হবো। এখানে একবিন্দুও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি সাজাপ্রাপ্ত আসামি আছে। তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক এই মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত।’
তিনি বলেন, ‘যেসব এলাকা দিয়ে আমাদের দেশে মাদক ঢুকছে, সেসব এলাকায় আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করেছি। তারপরও মাদক ঢুকছে। এসব নিয়ন্ত্রণে আমারা কাজ করে যাচ্ছি। বর্ডার এলাকায় সেন্সর লাগানো হচ্ছে, যাতে করে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকতে না পারে। শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এককভাবে কাজ করলে হবে না।’ জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নাগরিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, ‘কক্সবাজারে মাদক ব্যবসায়ীরা আত্মসমর্পণ করেছে। অন্যান্য জেলাগুলোতেও এভাবে মাদক ব্যবসায়ীদের এ ব্যবসা থেকে ফিরেয়ে এনে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে চাই।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন,‘পথচারীরদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। জনগণের পথচলার সুন্দর পরিবেশ না হওয়া পর্যন্ত হকার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলতে থাকবে। অবৈধ দখলকারীকে কোনও ধরনের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহম্মাদ ফেরদৌস খান, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব শহিদুজ্জামান, জাতীয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, মনরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুহিত কামালসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ডিএসসিসি’র ওয়ার্ড কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলেন।