আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঝিনাইগাতীতে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি নেতার প্রার্থীতা ঘোষণা

ঝিনাইগাতী (শেরপুর)প্রতিনিধি
শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৪ মার্চ ভোট গ্রহনের তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে।ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা গনসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ব্যাপারে বিএনপি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত ঝিনাইগাতী উপজেলায় বিএনপির নেতা পর পর নির্বাচিত চেয়ারম্যান এর বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন।

তিনি হলেন ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির ১ নং সদস্য উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা। তিনি আজ রোববার তৃতীয় বারের মত চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়েছেন। আগামীকাল সোমবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপজেলা সভাপতি আলহাজ এসএমএ ওয়ারেজ নাইম সম্ভবত দলের মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে লোকমূখে শোনা যাচ্ছে। গত ২ বার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলের মনোনয়ন পেয়ে পর পর ২বারই বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী বাদশার নিকট পরাজিত হয়েছেন।শেষ বার নির্বাচনের সময় দূর্নীতি মামলায় কারাগারে থেকেও বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাইমকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন। আবারো নাইম দলের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করলে বাদশা আবারো জয়ী হবে। আমরা জয় নিশ্চিত জেনেও কেন এই নির্বাচন থেকে সরে আসবো। তাছাড়া শেরপুর-৩ আসনের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ‘ক্ষমতাসীনদের’ একাধিক প্রার্থী থাকায় প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

অভিজ্ঞমহল মনে করছেন,ঝিনাইগাতী উপজেলায় আঞ্চলিকতার প্রভাব নির্বাচনে ব্যাপকভাবে কাজ করে। এ উপজেলায় নির্বাচনে উত্তর আর দক্ষিণ দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায়। আর এটা ভাগ হয় স্থানীয় বগাডুবি বিলের উত্তরে ৯৫ হাজার ভোট এবং দক্ষিণে ৩০ হাজার ভোট। নাইম সাহেবের বাড়ী দক্ষিণ এলাকায় আর বাদশার বাড়ী উত্তর এলাকায়। যে কারণে বার বার বাদশা জয়ী হয়।আবার যদি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সভাপতি নাইমকে না দিয়ে উত্তর এলাকার প্রার্থী দলের সাধারণ সম্পাদক লেবু কে দেওয়া হয় তবে নৌকা জয়লাভ করার সম্ভাবনা বেশী বলে লোকজন বলাবলি করছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির নেতা ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা জানান,তিনি নির্বাচনে আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু দলের তৃণমুলের নেতাকর্মীরাই তাকে নির্বাচন করার জন্যে সম্মতি দিয়েছেন। তিনি বলেন,দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন উপজেলা পর্যায়ে তাদের মনোনীত কেউ না থাকলে তারা অভিভাবকহীন হয়ে পড়বেন। উপজেলা চেয়াম্যান থাকলে অন্তত সামান্যতম আশ্রয় পাবেন বলে আশা করছেন।