প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
রাজধানীর সাভার থানাধীন বালিয়ারপুর এলাকা হতে ৭০ কেজি গাঁজাসহ ০৪ (চার) মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেট কার জব্দ।
মাদকাসক্তি একটি বহুমাত্রিক সামাজিক সমস্যা। যে যুব সমাজ দেশ ও জাতির আগামী দিনের চালিকাশক্তি, তাদের একটি অংশ মাদকাসক্তির কবলে পড়ে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাÐে জড়িয়ে পড়ছে। মাদকাসক্ত তরুণরা কর্মশক্তি, মেধা ও সৃজনশীলতা হারিয়ে নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও আদর্শ হতে বিচ্যূত হয়, যা দেশ ও জাতির জন্য বয়ে আনে অপূরণীয় ক্ষতি। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময়ই মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং এই পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশী/বিদেশী অবৈধ মাদক উদ্ধার করে সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত মাদক পরিবহনে নিত্য নতুন ও অভিনব কৌশল অবলম্বন করে আসছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদক পাচারের ট্রানজিট হিসেবে রাজধানী ঢাকাকে ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। মিয়ানমার হতে নৌ-পথে আগত ইয়াবা ট্যাবলেটের চালানগুলো কক্সবাজার হতে সড়ক, রেল ও বিমানপথে ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। র্যাব এসকল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
গতকাল র্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কুমিল্লা হতে ০১ টি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার, যার রেজিঃ নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ-২৩-০১৩৭ যোগে বিপুল পরিমান গাঁজা (মাদক) নিয়ে আব্দুলাহপুর হয়ে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন বলিয়ারপুর নামক স্থানে আসছে। উক্ত সংবাদ এর সত্যতা যাচায়ে র্যাব-২ এর আভিযানিক দল অনুমান ১৩.১০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন বলিয়ারপুর বাস মেরামত ও পার্কিং এর বিপরীত পাশে পাকা রাস্তার উপর চেকপোষ্ট পরিচালনা করে। হঠাৎ ১৪২০ ঘটিকার সময় উক্ত গাড়িটি চেকপোষ্টের সামনে আসলে গাড়িটি থামার জন্য সিগন্যাল দিলে র্যাবের উপস্থিতি টেরপেয়ে গাড়ি থেকে নেমে মাদক ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থল হতে দ্রæত পালানোর চেষ্টা কালে (১) মোঃ মামুন (৩০), ২। মোঃ শাহ আলম (২৫), ৩। মোঃ আলমগীর হোসেন (২৯), এবং ৪। মোঃ রিয়াদ (৩৭) কে আটক করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে গাঁজা চালান সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে অস্বীকার করে।
পরবর্তীতে ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদে তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার এর ভিতরে রক্ষিত ৬ টি খাকী রংয়ের স্কচটেপ দ্বারা মড়ানো প্যাকেটসহ সর্বমোট ৭০ (সত্তর) কেজি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য (গাঁজা) এর কথা স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে প্রাইভেটকার এর ভিতরে লুকিয়ে রাখা ৬ টি খাকী রংয়ের স্কচটেপ দ্বারা মড়ানো প্যাকেটসহ সর্বমোট ৭০ (সত্তর) কেজি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য (গাঁজা) পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে।
ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানান যে, তারা পরস্পর যোগসাজোসে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রাইভেটকার যোগে সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লা হইতে গাঁজা (মাদক) ক্রয় করে রাজধানীর সাভার থানার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে আসছিল। তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার এবং মোবাইল সেটগুলি মাদকদ্রব্য ব্যবসার কাজে ব্যবহার করে বলিয়া জানায়। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২-এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।