আজ শনিবার, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গয়েশ্বর রায়ের পাশে দাঁড়ালেন আ.লীগের মন্ত্রী

গয়েশ্বর রায়ের পাশে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামীলীগের বর্তমান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ।

রাজনীতির বাইরেও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে বহুদিনের পারিবারিক সম্পর্ক বলে জানালেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাকে দেখতে যান নসরুল হামিদ। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘গয়েশ্বরচন্দ্র রায়ের সঙ্গে রাজনীতির বাইরেও আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক বহুদিনের। রাজনীতিতে উনি আমার অনেক সিনিয়র, তিনি আমার গুরুজন। আমরা পাস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে গত ১০ বছর ধরে কেরানীগঞ্জের সন্ত্রাসের রাজত্ব দূর করেছি। অতীতে হাতে হাত মিলিয়ে ভোট চেয়েছি। গতকালের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আমরা লজ্জিত। হানাহানি করে রাজনীতি হয় না। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। পুলিশ এরইমথ্যে তিনজনকে ধরেছে। আমরা জানতে চাই এরা কারা, কোত্থেকে এসেছে। আগামী ৩০ তারিখ শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। একসাথে ভোট চাইবো আবারও।’

এসময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মাথায় ছিল ব্যান্ডেজ বাঁধা। সেই অবস্থাতেই তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক টানাপোড়েনের মধ্যে আমি চেষ্টা করেছি সহিংসতা এড়াতে। নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর এই প্রথম গতকাল আমি ভোটের মাঠে নেমেছি। যখন হামলা হয় পুলিশের হেল্প চাইলেও পুলিশ প্রশাসন আমাকে কোনো হেল্প করেনি। বরং আমার ছেলেদের হয়রানি করেছে। কখনও কখনও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও অঘটন ঘটিয়ে থাকতে পারে। গতকালের ঘটনা কারা করেছে এ বিষয়ে সন্দিহান। আমি হামলার বিচার চাইনি। আমি আহত আরকেজন (বিপু) মাঠে আছে। তিনি সহানুভূতি জানাতে এসনেছেন আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। নির্বাচন হবে কি হবে না, আশঙ্কা থাকুক আর না থাকুক, ৩০ তারিখের ভোটের পর কেরানীগঞ্জের মানুষ সবাই এক হয়ে থাকবেন এই আশা করি।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধানের শীষের প্রচারণায় ঢাকা-৩ আসনের চুনকুটিয়া চৌরাস্তাএলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বের হন ওই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। প্রচারণা চালানোর সময় তার ওপর লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে গয়েশ্বর চন্দ্রসহ তার বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় গয়েশ্বরকে রাজধানীর বিজয়নগরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।