তাওসিফ মাইমুন: বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনভাবেই সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন পাতানো নির্বাচনের পথে হাঁটছে এবং ক্ষমতাসীনদের অনিয়ম করতে উৎসাহ দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ার জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন। এসব বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
বুধবার ২১ নভেম্বর নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পুরো দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর উপর অর্পন করেছে হুদা কমিশন। প্রায় সাড়ে ৬ লাখ নির্বাচনী কর্মকর্তার তালিকা প্রস্তুত করছে পুলিশ। তার মধ্যে ৪১ হাজার প্রিজাইডিং অফিসার দুই লাখ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও চার লাখ পোলিং অফিসার। এসব তালিকা চূড়ান্ত করার পথে। এরা সকলেই আওয়ামী লীগের দলীয় লোক। এর যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। এ ব্যাপারে নখ-দন্তহীন কমিশন অস্বীকার ও রহস্যজনক নীরবতা পালন করছে।
নির্বাচন কমিশনের নতুন চক্রান্তের কথা উল্লেখ করে বলেন, জনগণের ভোটারাধিকার আবার হরণ করার জন্য নতুন চক্রান্তে মেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। যা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অনিয়মের দাবি করে বলেন, খুলনার হরিণটানা থানার সম্ভাব্য চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭৪ জন শিক্ষকের নামের মধ্যে ৬৩ বা ৮৫ শতাংশই আওয়ামী লীগের সমর্থক। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করার আগে তাদের বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সরকারবিরোধী যাকে পেয়েছে তার নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে পুলিশ। একইভাবে সারাদেশে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।আমরা এসকল তালিকা পরবর্তিতে গণমাধ্যমকে সরবরাহ করবো।
১৪ নভেম্বরের হামলা ভাংচুর বিষয়ে বলেন, হেলমেটধারি এজেন্টদের দিয়ে কার্যালয়ের সামনে সমবেত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ভাংচুর ও পুুলিশের গাড়িতে অগ্নিসং যোগের ঘটনা পিরিকল্পিত ভাবে পুলিশ করিয়েছে। এখন ঘটনাকে ঢকতে কাল্পনিক মহাকাব্য রচনা করছে।
তিনি বলেন, হেলমেটধারিদের আমরা দেখেছি নিরাপদ সড়ক দাবির আন্দোলন কর্মসূচিতে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ চালাতে। সরকারের উস্কানিতে আসল হেলমেটধারিদের গ্রেফতারের পরিবর্তে বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তারে মহা ব্যস্ত পুলিশ। যার তিব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।