নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশজুড়ে ‘অশুভ সংকেত’দেখছেন ভারতের পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতায় শুক্রবার একাধিক কালী পূজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করে করেন বলে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আসামের তিনসুকিয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মমতা ছাড়াও পথে নামে সিপিএম। আর কংগ্রেস শনিবার রাজ্য জুড়ে ‘কালো দিবস’ এর ডাক দিয়েছে।
উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে বিকেলে প্রথমে গিরীশ পার্কে একটি পুজার উদ্বোধনে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, গুজরাটে বিহারি খেদাও হচ্ছে, আসামে বাঙালি খেদাও চলছে। সারা দেশে অশুভ সঙ্কেত মনকে ভারাক্রান্ত করে রেখেছে।
এরপর জান বাজার এবং শেকসপিয়র সরণিতে পুজার উদ্বোধনে গিয়েও একই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানবাজারে তিনি বলেন, এত আনন্দের মধ্যেও মন ভাল নেই। অসহায়ভাবে অসমে গরিব মানুষগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। খুনে গরিব, বড়লোক তফাৎ থাকে না।
অসামকাণ্ড উল্লেখ করে তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের বৈষম্য বরদাস্ত করা হবে না। সকলকে নিয়ে বাঁচাই রাজ্যের ঐতিহ্য।
বৃহস্পতিবার রাতে আসামের খবর পাওয়ার পরই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, শুক্রবার রাজ্যে একাধিক প্রতিবাদ মিছিল করবে তৃণমূল। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে দলীয় কর্মীদের প্রোফাইল ছবি ‘কালো’ করে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। নিজেও ফেসবুক-টুইটারে ছবি কালো করে দেন।
দলনেত্রীর নির্দেশ পালন করেছেন দলীয় কর্মীরা। এ দিন কলকাতায় উত্তর এবং দক্ষিণে তৃণমূলের দুটি মিছিল হয়। যার একটির নেতৃত্বে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যটির অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্য দিকে, এ দিন ধর্মতলা থেকে মৌলালি পর্যন্ত সিপিএমের প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীরা।
সূর্যকান্ত বলেন, বিজেপির জমানায় কোনও মানুষেরই নিরাপত্তা নেই। তাদের বিভাজনের রাজনীতির জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। নাগরিকদের প্রাণরক্ষা এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অসমের বিজেপি সরকার ব্যর্থ।
আসাম রাজ্যের তিনসুকিয়া জেলায় বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচ বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামকে (উলফা) সন্দেহ করা হচ্ছে। উলফা বাঙালিদের ওপর হামলা চালাতে পারে, সাত দিন আগে এমন তথ্য আসাম সরকারকে জানিয়েছিল দিল্লি।