আজ মঙ্গলবার, ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঐক্যফ্রন্টে না.গঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন ঝুকিতে বিএনপি

ঐক্যফ্রন্টে না.গঞ্জ-৫ আসনে

ঐক্যফ্রন্টে না.গঞ্জ-৫ আসনে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি নতুন জোট ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছে। ঐক্য ফ্রন্টে যোগ দেয়ায় নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে মোড় নিতে শুরু করেছে। বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের পর পরই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

এতোদিন নির্বাচনী মাঠে নামার অনিশ্চয়তায় থাকলেও সেটা যখন অনেকটা খোলাশা হয়েছে তখন ঐক্যফ্রন্ট’র প্রার্থী তালিকা নারায়ণগঞ্জ বিএনপির গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের সাথে যুদ্ধ করেই নিজেদের মনোনযন নিশ্চিত করতে হবে।

গত কয়েক মাস নারায়ণগঞ্জ বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে গোপনে নির্বাচনী প্রস্ততি নেয়ার পাশাপাশি নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেনে। কিন্তু এবার নিজেদের দলের নেতাদের পাশাপাশি ঐক্যফ্রন্ট’র প্রার্থীদের সাথে যুদ্ধ করে নিজেদের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে হবে। জানাগেছে, অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ৭ দফা দাবি নিয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’র যাত্রা শুরু হয়েছে। এ ঐক্যফ্রন্টে কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়া, আসম আবদুর রবের ও মাহমুদুর রহমান মান্নার যুক্ত ফ্রন্ট এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি।

গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সন্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সূত্র বলছে, সদর-বন্দর আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম , সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান ,মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর খোরশেদ আলম খন্দকারের পাশাপাশি নতুন করে যুক্ত হয়েছেন সাবেক এমপি এসএম আকরাম। নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা আকরামের দলটি বিএনপিসহ আরো বেশ কটি দলের সাথে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে নতুন করে কালাম ও সাখাওয়াতের জন্য নতুন ঝামেলা হিসেবে দাঁড়িয়েছে আকরাম। বিশ্লেষকরা বলছেন,

একাদশ সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না থাকায় নির্বাচনী মাঠে নামতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারা। তবে বর্তমানে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এটা অনেকটা স্পষ্ট হলেও নির্বাচনী মাঠে নামতে পারছেন না স্থানীয় নেতারা। কেননা নিজেদের মধ্যে থাকা মনোনয়ন যুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বির সংখ্যা বেড়েছে। এতে দলীয় মনোনয়ন ঝুকিতে পড়বে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারা। অনেকই মামলার কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পাবেন।

আকরাম সমর্থকরা বলেন, আগামী নির্বাচনে আমাদের নেতার মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। আমাদের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।

বিএনপির সমর্থকরা বলেন, কেউ উড়ে এসে জুড়ে বসবে আমরা তা মেনে নেব না। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানে সদর-বন্দর আসনে বিএনপির বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে।