আজ মঙ্গলবার, ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জ জেলা আ.লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং দুর্নীতিবাজ : মতিউর রহমান আকন্দ

আব্দুল হাই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা

আব্দুল হাই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

কাঞ্চন-মুড়াপাড়া আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং দুর্নীতিবাজ।

গতাকল রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েত পাড়া ইউনিয়নের পূর্বগ্রাম বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নৌকার পক্ষে গণসংযোগ শেষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে আব্দুল হাই যুদ্ধে না গিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। হাই মুক্তিযুদ্ধ চলকালীন সময় কলকাতার সুব্রত হোটেলে অবস্থান করেছিলো । হাই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন নাই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের বিচার চাই।

তিনি বলেন , জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর হাই সাহেব কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাইয়ের দুর্নীতির কথা জানতে পেরে গত নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে হাইকে বাদ দিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলেন।

মতিউর বলেন, হাই মুক্তিযুদ্ধের সাটিফিকেট বানানোর জন্য গোলাম দস্তগীর গাজীর কাছে ধরনা দিয়েছে কিন্তু গোলাম দস্তগীর গাজী বাঙালি জাতির সাথে বেইমানী করে নাই।

তিনি বলেন, ঢাকার নয়া পল্টনে কালর্ভাট রোডে হাইয়ের তানিয়া মটরস নামে একটি দোকান ছিলো। রাস্তা করার জন্য সেই দোকান ভাংগা পড়ে। দোকান ভাংগার পরে আব্দুল হাইয়ের সংসার চলত না। হাইকে প্রথম আমি নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর কাছে নিয়ে যাই। গোলাম দস্তগীর গাজী তাকে ২ লাখ টাকা দেয়।

তিনি বলেন, ইদে যাকাতের শাড়ি ও টাকার জন্য গোলাম দস্তগীর গাজীর বাসায় বসে থাকত হাই। আব্দুল হাইয়ের মেয়ে সহ পরিবারের একাধিক লোককে চাকরি দিয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী।

হাইকে প্রতারক আখ্যা দিয়ে মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজীর নামে প্রতারক হাই মিথ্যাচার করছে। খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সুনাম নষ্ট করছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ সাইফুল ইসলাম, যুগ্মসম্পাদক বাবু কৃঞ্চ দয়াল দাস, প্রচার সম্পাদক মানজারী আলম টুটুল,
আওয়ামীলীগ নেতা মান্নান মুন্সি, করিম পাঠান, মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হোসেন, উপজেলা যুব লীগের সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন, সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মেহের, সাধারন সম্পাদক নাঈম ভুইয়া, ফয়সাল আলম সিকদার, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি শফিকুল আলম বাদল, সাধারন সম্পাদক মোশারফ হোসেন ভুইয়া, মহিউদ্দিন, আলমগীর হোসেন প্রমূখ।