সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিদ্ধিরগঞ্জে ১১৯ নেতাকর্মীর নামে নাশকতার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৭ জন গ্রেফতারকৃতসহ ২৯ জন অজহার নমীয় আসামী করা হয়েছে। এছাড়াও ৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। ১ অক্টোবর দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মোঃ রেজাউল করিম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় রাজ টিম্বার মিলসের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি সোটা ও ইট পাটকেল দিয়ে হামলা করার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শাহাদাত হোসেন রনি (২১) ওমর ফারুক (১৯), আল আমিন (১৯), শরিফুল ইসলাম (১৯), আবু হানিফ (১৯), গোলজার হোসেন (৫৫) ও আমজাদ হোসেন (৫৫)
মামলায় এজহার নমীয় আসামীরা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ ৪-আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, নাসিক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, তৈয়ব আলী, ইসলাম, মহিউদ্দিন মোল্লা, রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, আকবর হোসেন, মিনার হোসেন, আব্দুল মান্নান, মোঃ বিল্লাল হোসেন, শিপন, রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ, শাহ আলম মাস্টার, হেলাল, ইমাম হোসেন বাদল, আয়ুব আলী মুন্সী, মশিউর রহমান মশু, এম এ হালিম জুয়েল, আজহারুল ইসলাম নিপু, পলাশ, আবুল হাসেম কাজি ও পল্টু কর্মকারসহ অজ্ঞাত ৯০ জন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, রোববার (৩০ সেপ্টে¤॥^র) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসহকের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার রাজ টিম্বার মিলসের সামনে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মিছিল করতে থাকে। এসময় পুলিশ মিছিলকারীদের মিছিল করতে নিষেধ করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি সোটা ও ইট পাটকেল দিয়ে হামলা করে। এতে দুই জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ধাওয়া করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। এসময় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৯ট অবিস্ফোরিত ককটেল, ২টি কাঠের লাঠি ও ৩৭টি ছোট পাথরের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার মিয়া মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।