সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে দেশে গুম-খুনের যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটি অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেছেন, সহিংস অপরাধের বিচার এড়াতে বিএনপি নেতাদের অনেকে নিজেরাই ‘অদৃশ্য’ হয়েছেন। এতে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতার তথ্য তদন্তে আজও বেরিয়ে আসেনি।
স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিক্সে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি এ কথা লিখেছেন।
সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, বিএনপির দাবি তাঁদের নেতাদের গুম করা হচ্ছে, যেটির সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। বাংলাদেশ পুলিশ গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করেছে। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্তে তারা জানতে পেরেছেন, সহিংস অপরাধে বিচার এড়াতে তাদের অনেকে নিজেরাই ‘অদৃশ্য’ হয়েছেন।
কলামে জয় বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহারের গুম ও ফিরে আসার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে অভিযোগ ওঠে সালাউদ্দিন আহমেদকে অপহরণ করা হয়েছে। দু’মাস পর তাঁর সন্ধান মেলে শিলংয়ে। তদন্ত করে জানা গেলো, বিচার এড়াতে তিনি ভারতে পালিয়েছিলেন। বাকিদেরও খুব দ্রুতই সন্ধান মেলে। আর হারিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই সন্ধান মেলে বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারের।
নির্বাচনের পরিবেশের দোহাই নিয়ে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা লিখেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের অপূর্ণতার দায় পুরোটাই বিএনপির, আওয়ামী লীগের নয়। নির্বাচনকে ত্রুটিযুক্ত করতে একটি আসনেও প্রার্থী দেয়নি দলটি।
প্রধানমন্ত্রীর আহবান জানানো সত্ত্বেও বিএনপির নির্বাচন বর্জনের কথা উল্লেখ করে জয় আরও লিখেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন যে, গণতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। তিনি নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব রাখারও প্রস্তাব দেন। নির্বাচনের আগে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েও প্রত্যাখাত হন। বিএনপি উল্টোপথে হেঁটে প্রকাশ্যে লড়াই শুরু করেছিল। দলটির অনেক নেতা ভোটকেন্দ্রে প্রেটলবোমা ছুড়ে মারার পথ বেছে নেন।
ওই নির্বাচনে বিএনপি এবং তাদের সহযোগী জামায়াত নেতাকর্মীরা কয়েক হাজার বাড়ি, গাড়ি, ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা ২০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে এবং সরকারি স্থাপনায় আগুন দিয়েছে। নির্বাচনের দিন তারা পেট্রলবোমা মেরে সহিংসতা সৃষ্টি করে।
আগামী নির্বাচনেও বিএনপি একইভাবে সহিসংসতার কথা ভাবছে উল্লেখ করে জয় লিখেন, বিএনপি এ বছরের নির্বাচনকেও একইভাবে বিবেচনা শুরু করেছে। তারা আবারও হুমকি দিচ্ছে সহিংসতা শুরু করার।