আজ মঙ্গলবার, ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নির্বাচনকালীন সরকারে যারা থাকছেন

সরকারে যারা থাকছেন

সরকারে যারা থাকছেন

নবকুমার:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। সময় যতো এগিয়ে আসছে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। ওই সরকারে বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্য থেকে কে কে থাকছেন আর কে কে বাদ পড়ছেন এনিয়েও শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।

অক্টোবরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই গঠিত হবে নির্বাচনকালীন সরকার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট হয়ে বর্তমান মন্ত্রিসভার অর্ধেকে নেমে আসবে। এই সরকারে যারা থাকবেন তাদের অধিকাংশই বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য।

এর বাইরে দুই একজনকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। তবে সংবিধান অনুযায়ী, তারা অবশ্যই জাতীয় সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধি হবেন।

এদিকে বর্তমান মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্যই নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে পারবেন না। সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অক্টোবরের শেষ দিকে অথবা নভেম্বরের শুরুতেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। এই সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জনের বেশি হবে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও এ রকম ইঙ্গিতই দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেরনে তিনি বলেন, এটা নিশ্চিত নির্বাচনকালীন সরকারে কোনো টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী থাকছেন না। এই সরকারের আকার ছোট হবে। মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা গতবারের নির্বাচনকালীন সরকারের মতই থাকবে। তবে জাতীয় পার্টি থেকে ২/৩ জন বাড়ানোর আবদার করা করা হয়েছে।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, উপদেষ্টাসহ মোট সদস্য সংখ্যা ৫৯ জন। অর্থাৎ বর্তমান মন্ত্রিসভার অর্ধেকের বেশি নির্বাচনকালীন সরকারে বাদ পড়বেন।

গত নির্বাচনের আগে যে নির্বাচনকালীন সরকার হয় তাতে মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন ২৯ জন এবং প্রত্যেকেই ছিলেন জাতীয় সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধি।

তখন ওই মন্ত্রিসভায় ছয়জন মন্ত্রী এবং দুইজন প্রতিমন্ত্রীকে নতুন অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তৎকালীন সরকারের ৫৮ সদস্যের মন্ত্রিসভাকে ছোট করে অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়।

সূত্র বলছে, নির্বাচনকালীন সরকারে নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে জায়গা পেতে পারেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পানি সম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন সিকদার, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের মধ্য থেকেও কারও কারও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান উপদেষ্টাদের মধ্যে বেশি শোনা যাচ্ছে- এইচটি ইমাম, গওহর রিজভী এবং মশিউর রহমানের নাম।

সরকারের ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রাথমিকক ও গণশিক্ষা মোস্তাফিজুর রাহমান ফিজার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উসৈশিং, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জমান আহমেদ, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা স্থান নাও পেতে পারেন।