আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফতুল্লায় পুলিশ সোর্সদের দাপট

ফতুল্লায় পুলিশ সোর্স

ফতুল্লায় পুলিশ সোর্স

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় চলছে পুলিশের সোর্সদের দাপট। সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে সোর্সরা নানা ধরনের হয়রানি করে আসছে। প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে মাদক ব্যবসার সুযোগ করে দিচ্ছে সোর্সরা। অন্যদিকে, মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে কথিত এসব সোর্সদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকায়। মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় তারেক হাসান শুভ নামের এক যুবককে বিয়ার দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সোর্স কালুর বিরুদ্ধে। বর্তমানে শুভ নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দি আছেন। ছেলের শোকে এখন কাতর হয়ে পড়েছেন বৃদ্ধ মা।
অভিযোগে জানাযায়, সম্প্রতি পুলিশ সোর্সদের উৎপাত বেড়ে গেছে মুসলিমনগরের প্রতিটি পাড়া মহল্লায়। প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে পুলিশের সোর্সরা মাসোহারা আদায় করছেন এবং নির্বিঘেœ মাদক ব্যবসা করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। সম্প্রতি নয়াকাজর এলাকার এক মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে শুভ’র কথাকাটাকাটি হয়েছিল। তারই জেড়ে পুলিশের সোর্স কালুকে দিয়ে শুভ ফাঁসিয়ে দেয় ঐ চক্রটি। ফতুল্লা মডেল থানার এসআই তারেক আজিজকে ভুল তথ্য দিয়ে সোর্স কালু এ অপকর্মটি করেছে বলে জানাযায়।
এদিকে, ৬ আগষ্ট শুভকে ৪১ ক্যান বিয়ারসহ আটক করার তথ্য জানা গেলেও পুলিশ দুই দিন তাকে থানা হাজতে বন্দি করে রেখেছিল। শুভ’র বন্ধু আমজাদ জানান, ‘টানা দুই দিন আমরা পুলিশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম। প্রথমে বিশেষ পেশার এক ব্যক্তির মাধ্যমে পুলিশের ঐ এসআই’র সঙ্গে দেন দরবার করি। বিশেষ পেশার ঐ ব্যক্তি পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবী করেছিল। আমরা তাকে বিশ হাজার টাকার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাতে তিনি রাজী হননি। প্রায় ৩৬ ঘন্টা পর মধ্যস্থতাকারী ঐ ব্যক্তি পূনরায় আমাদের ফোন করে শুভকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টাকা ম্যানেজ করতে বলেন। নয়তো শুভ রিমান্ডে এনে নির্যাতন করবে বলেও জানিয়েছিলেন বিশেষ পেশার ঐ ব্যক্তি। শুভকে যে টাকা আদায়ের জন্য ফাঁসানো হয়েছিল সেটা দিবালোকের মতোই স্পষ্ট। পুলিশের কতিপয় এসব সোর্সদের কারনে ফতুল্লা মডেল থানার ভাবমূর্তি এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে শুরু করেছে। পুলিশের উচিত প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করে নিরিহদের নির্বিঘেœ চলাচলের সুযোগ করে দেয়া।’