আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দুর্নীতিবাজ মাদকব্যবসায়ী স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে লালনকারীরা যেন রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসতে পারে : প্রধানমন্ত্রী

দুর্নীতিবাজ মাদকব্যবসায়ী

দুর্নীতিবাজ মাদকব্যবসায়ী

নবকুমার:

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন তৃণমূল নেতামকর্মীরা উদ্দেশ্যে বলেছেন, দুর্নীতিবাজ মাদকব্যবসায়ী মানিলন্ডারিং জাতির পিতার খুনি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে লালন পালন কারী আর কোন দিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে না পারে সে দিকে সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে।

নতুন নেতাকর্মী তৈরী প্রসঙ্গে তৃণমুল আ.লীগের নেতাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আপনারা বিএনপি জামায়াত,নেশাগ্রস্ত মাদকের সাথে জড়িতদের বাদ দিয়ে নতুন নেতাকর্মী সৃষ্টি করবেন। ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে কোন্দল  না করে  তা দ্রুত নিরসন করে  আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিবেন। কোন গ্রুপিং তৈরী করবেন না।

৩০ জুন শনিবার দুপুরে গণভবনে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বর্ধিত সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্কুল থেকে রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম। সেই ‘৬২ সালে মিছিল করেছি। কলেজে আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলাম। কিন্তু কখনো ভাবতে পারিনি এত বড় দল (আওয়ামী লীগ) চালাব।

দেশের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আপনাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা সবাই বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়বেন। তাহলে বুঝবেন কতটা ভালোবাসলে একজন নেতা দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে পারেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন বলেছেন, এই দেশে ভোটের রাজনীতি মানেই ছিল জিয়াউর রহমান। তার একদিকে সেনাপ্রধান আরেকদিকে আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। যেটা আর্মী রুলস এক্ট বিরোধী। সেই কাজ সে করলো অস্ত্র দেখিয়ে। তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সায়েম সাহেব। তাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। যে ক্ষমতাগ্রহণকে উচ্চ আদালত অবৈধ ক্ষমতা গ্রহণ হিসেবে রায় দেয়।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরেই আবার সে করলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন ওই ক্ষমতায় বসে, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে গড়ে তুললো রাজনৈতিক দল। প্রশ্ন হচ্ছে একটা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী তার ক্ষমতায় বসে থেকে যে দল সৃষ্টি হয় সে দলও তো বলতে গেলে অবৈধ দল-ই হয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পচাত্তরের কালো রাতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমি যে শুধু আমার বাবা, ভাই সব হারিয়েছি তা না। বাংলাদেশের জনগণ হারিয়েছে তাদের সেই নেতা যিনি দরদ দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে এই বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পচাত্তর থেকে ছিয়ানব্বই পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছর এই বাংলাদেশের মানুষের ওপর কী অত্যাচার হয়েছে। মিলিটারি ডিক্টেটররা ক্ষমতায় নিয়েছে একটি ক্ষুদ্র এলিট গ্রুপ তারা তৈরি করেছে। যারা ওই ব্যাংকের ঋণ নিয়ে ঋণ শোধ দিতো না। ঋণ খেলাপির কালচার তারা সৃষ্টি করেছে। টাকা নিয়ে বিলাস বাসনে তারা ব্যয় করেছে এবং একটার পর একটা এ দেশে কু হয়েছে, উনিশটা কু হয়েছে। আমাদের সামরিক বাহিনীতে হাজার হাজার অফিসার ও সৈনিকদের হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা যারা ছিল, তাদেরকে তো প্রায় শেষই করে দিয়েছে। বিমান বাহিনীর ৬৫ জন অফিসার একদিনে হত্যা করা হয়েছে। আর আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রত্যেককে দলে ভেড়ানোর জন্য ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের অত্যাচার নির্যাতন করা হয়। তাদের সঙ্গে যোগ দিতে রাজী না হলে কারাগারে ঢোকানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অশ্রসিক্ত কন্ঠে বলেন, আমি মা বাবা ভাই চাচা ফুফুসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়ে বিশাল এক পরিবার পেয়েছি তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রতিটা আ.লীগের নেতাকর্মী আমার পরিবারের সদস্য। বিস্তারিত আসছে…