নিজস্ব প্রতিবেদক:
৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে না পারায় গরুর খামারী ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে মিথ্যা ডাকাতি মামলা প্রদান করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১০ জুন) সকালে জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন ভিকটিম জামাল হোসেনের ভাই মোঃ আমান।
মামলায় উল্লেখ্য ১০জন আসামীরা হলেন, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ গিয়াস উদ্দিন। এসআই মোঃ শহিদুল ইসলাম, এএসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই মোঃ আমিনুল হক, মোঃ হাদিউজ্জামান, মোঃ ইব্রাহীম হোসেন, মোঃ আফাজউদ্দিন, মোঃ মাহবুব, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ সুমন আক্তার।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লা থানার মিথ্যা ডাকাতি মামলার আসামী মোঃ জামাল হোসেনকে ২জুন দুপুর ১টায় পুলিশ পরিদর্শক মোঃ গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে তাকে ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে। রাতে পরিবারের লোকজন ডিবি অফিসে ফোন দিলে তাদের পর দিন অফিসে আসতে বলেন। পরদিন (৩ জুন) অফিসে আসলে তাদের নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন গিয়াস উদ্দিন। চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতী জানালে তাদের হুমকি প্রদান করেন তিনি।
পরবর্তীতে ২ লক্ষ টাকা দেয়ার চুক্তি হলে রাত ১০টায় নগদ ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করেন গিয়াস উদ্দিন। বাদি দেড় লাখ টাকা পরে প্রদান করবে বলে জামাল হোসেন কে ছেড়ে দিতে বললে তারা জানায় পুরো টাকা পরিশোধ করার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। পরদিন (৪ জুন) বাকি টাকা প্রদানে অক্ষমতা প্রকাশ করে অনুরোধ জানালে গিয়াস উদ্দিন বলেন আগামীকালের ভেতর টাকা পরিশোধ না করা হলে জামাল হোসেন কে ক্রসফায়ার দেয়া হবে। ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার পদপ্রার্থী খলিলুর রহমান ও তার পরিচিত আইনজীবী দ্বারা ডিবি অফিসে যোগাযোগ করা হলে গিয়াস উদ্দিন বাদীকে অনত্র ডেকে নিয়ে তার ভাইয়ের ক্ষতি করার হুমকি প্রদান করেন।
এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে ৬ জুন জেলা পুলিশ সুপার বরাবর গোয়েন্দা পুলিশ শাখার পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতি তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার আবেদন জানানো হয় যা জাতীয় পত্রিকা সহ বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হয়। তার জের ধরে ৫ জুন রাত ৮টার ঘটনা সাজিয়ে ৬ জুন ৫টা ৫০ মিনিট সময়ে ডাকাতী প্রস্তুতি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় যার মামলা নং -১৭(৬)১৮ ধারাঃ ৩৯৯/৪০২ দন্ড বিধি। মামলার আবেদনের পেক্ষিতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদাল অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ সুপার মহোদয় কতৃক নির্বাচিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কর্মকর্তা কতৃক তদন্ত করে সত্ত্বর প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় আদালত প্রতিবেদন দাখিল করার পরবর্তী তারিখ হিসেবে আগামী ১০-০৭-১৮ ধার্য করেন।