নবকুমার:
পাবনার সাথিয়া ও বেড়া উপজেলায় চিহ্নিত আসামীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি সমাজের জনপ্রিয় ব্যক্তিদের গ্রেফতারের অভিযোগ পাওয়া গেছে ।সম্প্রতি সরকারের চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নের শীর্ষ সন্ত্রাসী ইজ্জত পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। জানা গেছে ইজ্জত নিহত হওয়ার পর থেকে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় সহ সকল শ্রেণীর মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
গতকাল সাথিয়া উপজেলার রসুলপুর বনগ্রাম এলাকার পল্লী চিকিৎসক ও ঔষুদ ব্যবসায়ী মোঃ মোতালিব হোসেন মজু মুন্সি (৫২) কে মাদকের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে । জানা গেছে মোতালিব হোসেন মজু মুন্সি ১৯৮৬সাল থেকে এলাকায় ঔষুদের ব্যবসা করে আসছে। তার নামে গ্রেফতারের আগে থানায় কোন মামলা ছিলো না। আসামীকে কোটে চালানের আবেদনের কপি হতে জানা যায় দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্খায় তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে পুলিশ।পুলিশ আসামী মাদকের সাথে জড়িত আছে কি না সেটা যাচাবাছাই করার জন্য কোটে আবেদন করেছে।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ মজু মুন্সি মাদকের সাথে জড়িত নয় তার নামে কোন মামলা নেই । রসুলপুর বনগ্রাম এলাকার জনপ্রিয় পল্লী চিকিৎসক। রাজনৈতিক হয়রানী করার জন্য আ.লীগের একটি অংশ মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশের হাতে তাকে ধরে দিয়েছে।
সাথিয়া উপজেলার যুবলীগ নেতা না প্রকাশ্যে অনইচ্ছুক দৈনিক সংবাদচর্চাকে জানান, পাবনা ১ আসনে আ.লীগের একটি বড় অংশের নেতাকর্মীদের রাজনীতির মাঠ ছাড়া করতে স্থানী সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এড.শামসুল হক টুকু পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানী করাচ্ছে।যাতে আগামী নির্বাচনে টুকুর দলীয় মনোনয়ন পাওয়া সহজ হয়।
বেড়া উপজেলার আ.লীগ নেতা জানান, টুকু ও তার ভাই বেড়া পৌরসভার মেয়র বাতেনের মতের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীরা গেলেই তাদের নামে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছে।যারা অধ্যাপক আবু সাইয়িদের সমর্থক তাদের উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী ও আসামীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে মামলাহীন ব্যক্তিদের গ্রেফতারের ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে বেশ আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই ঘর ছাড়া হয়েছে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।