নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আজ আমরা ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত, আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত। সামনে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা, তাই আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের পতাকা বাড়ীর উপর উড়াচ্ছি কিন্তু বাংলাদেশের পতাকার কথা কি আমরা কেউ ভাবছি। আওয়ামীলীগ শাসক গোষ্ঠী যে বাংলাদেশের পতাকাকে গিলে খাচ্ছে, ভারতের কাছে এ দেশকে বিকিয়ে দিচ্ছে, সেদিকে কারো খেয়াল নেই। গনতন্ত্র আজ হুমকির মূখে, পুলিশের পায়ের তলায় পিষ্ট হচ্ছে, গনতন্ত্র আজ আওয়ামীলীগের, যুবলীগের, ছাত্রলীগের লুটেরা বাহিনীর নিষ্পেশনে নিষ্পেশিত হচ্ছে। সেদিকে আমাদের কারো দৃষ্টি নেই।
বৃহস্পতিবার (৩১ মে) বিকালে নাসিক ৮নং ওয়ার্ডের গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার আনাবা কমিউনিটি সেন্টারে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা, ইফতার ও তাবারক বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য শামছুদ্দিন শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি, ব্যারিষ্টার পারভেজ আহমেদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য শাহ আলম হীরা, রিয়াজুল ইসলাম, গাজী মনির, থানা যুবদলের সাধারন সম্পাদক জুয়েল প্রধান প্রমূখ।
এসময় মামুন মাহমুদ আরো বলেন, আজ প্রথম আলো পত্রিকায় দেখেছি বিনাভোটে নির্বাচিত প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ভারতকে আমি যা দিয়েছি তারা সারাজীবন তা মনে রাখবে। একথা তিনি চরম সত্যকথা বলেছেন, ভারত তাকে মনে রাখবে ঠিকই কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাকে স্মরণে রাখবে না। বাংলাদেশের মানুষ তাকে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে। এমন স্বৈরাচার পৃথীবির ইতিহাসে আর দেখিনি। পৃথিবীতে অনেক স্বৈরাচার দেখেছি, অনেক স্বৈরাচারের কল্প-কাহিনী শুনেছি কিন্তু শেখ হাসিনার ইতিহাস সকল ইতিহাসকে হার মানিয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার এবং কথা বলার অধিকার দিতে পারেন নাই। অথচ মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছেন। এ অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে ? এ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন মানুষকে বুক ফুলিয়ে কথা বলার জন্য। মনে রাখবেন শুধু দোয়া করে ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, কথা বলার অধিকার এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবেনা। আমাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার এবং স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে কঠোর আন্দোলন করতে হবে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য মাসুম প্রধান, ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি রুবেল মাদবর, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল আহমেদ, থানা যুবদলের সদস্য কামাল ভূইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মৎসজীবি দলের সি: সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাউদ, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আওলাদ হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়া, ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি রাকিবুল দেওয়ান, সি: সহ-সভাপতি নুরে আলম, ৩নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি সোহেল মাহমুদ, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা দুলাল হোসেন বিমান, সাইফুল ইসলাম, ইউনুছ মিয়া, কাজী নুর আলম, হারুন অর রশিদ, আওলাদ শেখ, কাজী গোলাম কাদের, গাজী সেলিম আহমেদ, সেলিম প্রধান, শহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া, শফিকুল ইসলাম, এড. জামান, হাবিবুর রহমান হাবিব, শাহাদাৎ হোসেন শেখ, মো: সেলিমসহ প্রমূখ।