নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলির কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
বুধবার (১৬ মে) কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের স্মৃতিস্তম্ভে বিকাল ৩টায় শহীদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ৯৭ ব্যাচ এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়নগঞ্জ বারের সিনিয়র আইনজীবি আওলাদ হোসেন বলেন, যে শিক্ষক ছাত্রদের স্বপ্ন না দেখিয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে, কোচিং বানিজ্য করে, ছাত্রীদের কু প্রস্তাব দেয়, বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস না করে রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা চালিয়ে বেতন ভাতা ভোগ করে সেই সমস্ত শিক্ষকদের জায়গা বিদ্যালয়ে হবে না। দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন না করে রাজনৈতিক নেতাদের পদলেহন করে, মামলা নিয়ে কোর্টের আঙ্গিনায় দিনের পর দিন কাটান, সেই প্রধান শিক্ষক আমজাদ সাহেব কে হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন, সময় থাকতে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। নতুবা পালানোর পথ পাবেন না।
বক্তাবলি ইউনিয়ন মাদক নির্মুল কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আমজাদ সাহেবকে পদত্যাগ করতে হবে। না হলে কিভাবে পদত্যাগ করাতে হয় তা বক্তাবলিবাসী জানে।
বক্তাবলি পরগনা খালেক মাষ্টার ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা শফিউদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন, ৯৭ ব্যাচের এই মহতী উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং তাদের সকল প্রকার সহযোগিতা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত আছি।
ছাত্রনেতা শিশির বলেন, দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যাবে না।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নাসির উদ্দিন, আঃ কাদির মেম্বার, কামাল হোসেন, রাসেল চৌধিরী, দেলোয়ার, খোরশেদ, সাফায়েত উল্লাহ, সাইদুর, মামুন, নাজির, আমির হামজা সহ এলাকাবাসী।
আয়োজকরা জানান, প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ, নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন, ছাত্রছত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন পরিত্যক্ত ঘোষনা করে, নতুন ভবন নির্মান, শিক্ষকদের কোচিং, প্রাইভেট, গাইড ও গাইড বই ব্যবসা বন্ধ, যোগ্য, দক্ষ শিক্ষকদের দ্বারা পাঠদান নিশ্চিত, বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানাগার, গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা,নিয়মিত বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন, ২০১৩ সাল থেকে বিদ্যালয়ের আয় ব্যায়ের হিসাব জনস্মুখে প্রকাশের দাবিতে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছে।