আজ শনিবার, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দায়মুক্তি আইন লুন্ঠনকারীদের রক্ষা করার জন্যে- রফিউর রাব্বি

দায়মুক্তি আইন

দায়মুক্তি আইন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দায়মুক্তি আইন লুন্ঠনকারীদের রক্ষা করার জন্যে মন্তব্য কওে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সমাবেশে সংগঠনের জেলার আহ্ববায়ক রফিউর রাব্বি দায়মুক্তি আইনকে গণবিরোধী আইন বলে আখ্যা দেন।
সোমবার (১৪ মে) শহরের ২ নং রেইল গেট সংলগ্ন সৈয়দ আলী চেম্বারে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি দায়মুক্তির আইন বাতিল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ এবং রামপাল প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের সভাপত্বি করেন কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি।
রফিউর রাব্বি বলেন, দায়মুক্তির আইন সবসময়েই একটি গণবিরোধি আইন। ক্ষমতাশালীরা বিভিন্ন সময়ে অপরাধীদের রক্ষার জন্যে দায়মুক্তির আইন প্রণয়ন করেছে। ইতিহাস ঘাটলে দেখবো, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষা করার জন্যে ইনডেমনিটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বিচার বর্হিভুত হত্যাকারীদের রক্ষা করার জন্যে এ আইন হয়েছে। এবং আজকে আমরা যে দায়মুক্তি আইনের কথা বলছি তা আসলে বিদ্যুতখাত লুন্ঠনকারীদের রক্ষা করার জন্যে সরকার এ আইন প্রণয়ণ করেছে। এরূপ আইন করে কখনোই কোন সরকার অপরাধীদের রক্ষা করতে পারেনি। তাঁর কারণ, ক্ষমতা বদলের পরে দোষিদের বিচার অন্য সরকার করে। গ্যাস- বিদ্যুৎ ও জ্বালানী ক্ষাতে যে অরাজকতা বাঙলাদেশে হচ্ছে এটি আজকে থেকে নয়। দীর্ঘদিন ধরে এটি চলছে। বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় এসে অপরাধী, লুন্ঠনকারীদের মদদ দিয়েছে। বিদেশিদের সঙ্গে ক্ষমতাসীনরা দেশ বিরোধী চুক্তি করেছে। এদের রক্ষার জন্য ২০১০ সালে এই রেন্টাল, কুইম রেন্টাল নামে দায়মুক্তি আইনটি প্রণয়ন করে। বিদ্যুৎ সংকটের সমাধানের নামে চড়া দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সরকার। এই দায়মুক্তি আইনের সময়সীমা ৪ বার বাড়ানো হয়েছে। এই সরকার লুটপাটের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আমরা দেখেছি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দুর্নীতির জন্যে সাজা পেতে হচ্ছে। ফলে আমরা বলতে চাই এই দায়মুক্তির আইন দিয়ে আপনারা অপরাধ থেকে পার পাবেন? এমনটি ভাবার কোন সুযোগ নাই। আমরা সরকারকে বলতে চাই, অনতি বিলম্বে সুন্দরবন বিধ্বংসি রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ বন্ধ করতে হবে। গোয়ার্তুমি বন্ধ করে অবিলম্বে সুন্দরবন বিনাশী প্রকল্পের কাজ বন্ধ করুন।
নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, সরকার লুটপাট ও দুর্নীতির পথকে সুগম করার জন্যে সকল কিছু বিদেশ থেকে আমদানী করতে ব্যস্ত। দেশের জ্বালানী খাতকে পঙ্গু করে আমদানি নির্ভরতা কাদেরকে লাভবান করবে তা দেশের সকলেই জানে। তাই এই দেশ বিরোধী চুক্তিকে রুখতে হবে।
ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, তেল- গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ- বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব ডা. নজরুল ইসলাম, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বিমল দাশ, ওয়াকার্স পার্টির নেতা জাকির হোসন এবং গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বযকারী তরিকুল সুজন প্রমুখ।