আজ রবিবার, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শেখ হাসিনা আমৃত্যু প্রধানমন্ত্রী থাকবে

শেখ হাসিনা আমৃত্যু প্রধানমন্ত্রী থাকবে

শেখ হাসিনা আমৃত্যু প্রধানমন্ত্রী থাকবে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ  বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে আজীবন ক্ষমতায় রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে  বলেছেন, খালেদা জিয়ার দুর্নীতি-হত্যার রাজনীতি এদেশের জনগণ আর চায় না। শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত ও কর্মক্ষম আছেন, ততদিন পর্যন্ত তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকবে। শেখ হাসিনা ততদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। কোনো অপশক্তির ক্ষমতা নেই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করার।

বুধবার রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব-উল আলম হানিফ এসব কথা বলেন। সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই দাবি করে তিনি বলেন, সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে, আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবারো ক্ষমতায় আসবে। এদেশের জনগণ খালেদা জিয়া ও তার দুর্নীতিবাজ ছেলের নেতৃত্বে হত্যা-সন্ত্রাসের রাজনীতি দেখতে চায় না। তাই ২০১৮ সাল কিংবা ২০২৪ সাল নয়, ২০২৯ সালের পর বিএনপিকে ক্ষমতায় আসার জন্য চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।

হানিফ বলেন, বিএনপি এখন মিডিয়ার কল্যাণে বেঁচে আছে। জনগণের কাছে যাওয়ার আর কোনো মুখ ও সাংগঠনিক শক্তি তার নেই। প্রতিদিন তারা সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। আজ বিএনপির এমন করুণ দশা কেন? এর একটাই কারণ, তাদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা হত্যা-খুনের রাজনীতিতে জড়িত। আজ তারেক রহমানের সব চিন্তা-চেতনা তার বাবার মত খুনের রাজনীতির।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে ‘পাকিস্তানের নাগরিক’ দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, তারেক রহমান জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। তার মত ব্যক্তিও নির্লজ্জ মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন। তিনি নিজে মিথ্যাচার করে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ আনছেন। মিথ্যাচার করবেন না। তারেক রহমানের জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানের করাচিতে। জন্মসূত্রে নাগরিক হলে তারেক রহমান পাকিস্তানের নাগরিক। তার বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মির্জা ফখরুলের প্রতি জাতির ধিক্কার ছাড়া আর কিছুই করার নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মোশাররফ হোসেন বলেছেন তারেক রহমানকে নাকি সরকার আইনি হত্যা করার চেষ্টা করছে। আইনি হত্যা বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন? আইনের মাধ্যমে সঠিক বিচার হলে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তারেক রহমানের সর্বোচ্চ দণ্ড হতে পারে- এই ধারণা করছেন? তার মানে কী তারা নিজেরাও প্রমাণ করছেন, তারেক রহমান একজন খুনি?

আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দলের সহযোগী এই সংগঠন নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী, ভাইদের অনুরোধ করব, আসুন নির্বাচনের আগে অশুভ শক্তির সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসি। রাজনীতির পাশাপাশি মেধাপরীক্ষা দিয়ে বিসিএসসহ সব প্রতিযোগিতামূলক চাকরিতে যোগদানের জন্য ছাত্রলীগ নেতকার্মীদের প্রতি আহ্বানও জানান হানিফ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বায়েজিদ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, নগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম সারোয়ার কবির, মামুন রশিদ শুভ্র, মিরাজ হোসেন, আনিসুর রহমান আনিস, আনিসুজ্জামান রানা প্রমুখ। সম্মেলন পরিচালনা করেন মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সস্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।