নবকুমার:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই গরম হয়ে উঠছে পাবনা ১ ও ২ আসনের রাজনীতির মাঠ। সকাল হতে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত পথে ঘাটে চায়ের দোকানে চলে নির্বাচনের আলোচনা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় যে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছায়ে ব্যস্ত সময় পার করছে স্থানীয় জনগণ সহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
পাবনা ১ ও ২ আসনে (বেড়া-সাথিয়া-সুজানগর) প্রায় ৩৩ টি ইউনিয়ন ৪টা পৌরসভা রয়েছে।প্রত্যকটা ইউনিয়নে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে শক্ত অবস্থানে রয়েছে প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী , বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি সুত্রে জানা গেছে যে পাবনা ১ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী তালিকায় জনপ্রিয়তায় সবার শীর্ষে অবস্থান করছে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
ইসি কর্তৃক নতুন সীমানা নিধারণ করায় বেড়া উপজেলায় অধ্যাপক আবু সাইয়িদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকায় পাবনা ২ আসনে জনপ্রিয়তায় তিনি পিছিয়ে নেই।
সম্প্রতি প্রকাশিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ অনলাইন জনমত জড়িপে বেড়া -সাথিয়ার ৭০% লোক অধ্যাপক আবু সাইয়িদকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়।
বেড়া – সাথিয়া উপজেলায় অধ্যাপক আবু সাইয়িদের পক্ষে ওঠান বৈঠক এবং গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ।যে খানেই ওঠান বৈঠক এবং গণসংযোগ হচ্ছে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ঢল নামছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছে স্থানীয় সাংসদের স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে তাদের জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে হ্রস পাচ্ছে।সাধারণ জনগণ শিক্ষিত ক্লিন ইমেজের প্রার্থী চাচ্ছে যার মাধ্যমে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করা সম্ভব হয়।
সাথিয়া উপজেলার আওয়ামীলীগ নেতা জানান,সাথিয়া উপজেলার প্রত্যেকটা পাড়া মহল্লায় অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গণজোর বইছে।তার নেতৃত্বে তৃণমূল নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
বেড়া উপজেলার আওয়ামীলীগ নেতা জানান,বেড়া -সাথিয়া বাসি সন্তান হারা মায়ের মত অধ্যাপক আবু সাইয়িদের অপেক্ষায় বসে আছে।সাইয়িদ ছাড়া অন্য কাউকে এখানে প্রার্থী করা হলে নৌকার ভরাডুবি হবে এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জয়ী হবে।
এছাড়া দেখা যায় যে ,সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরার জন্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদের নেতৃত্বে ৫থেকে ১০ টিম কাজ করছে।এ টিমের অধিকাংশ সদস্যই তরুণ।