আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নূর হোসেনের উল্টো পিঠ রূপগঞ্জের আন্ডা রফিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষার আলো ছিল না। ছিলেন গ-মূর্খ। টাকার কুমির ছিলেন সাত খুনে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া নূর হোসেন। তার একটাই ভিশন ছিল টাকা। যার কারণে সাত খুনের মত ঘটনা ঘটাতেও দ্বিধা করেনি। অনেকেই বলছেন, শিক্ষার আলো যদি তার ভেতরে থাকতো, তাহলে অন্তত এ জঘন্য কাজ সে করতো না। অক্ষরজ্ঞানহীন অনেকেই এমন ভাবে রাজনীতির আশ্রয়ে ক্ষমতাসীন হচ্ছে। এই প্রভাবে অর্থবিত্তের মালিকও হচ্ছেন। একসময় এই তারাই ধরাকে সরা জ্ঞানে পরিণিত করতে উঠে পড়ে লাগেন। তাই নির্বাচন এবং রাজনীতিতে এই জাতিয়দের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সামাজের সচেতন ব্যক্তিরা। তারা নূর হোসেনের উদাহরণ টেনে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ওরুফে আন্ডা রফিকের কথাই তুলে ধরেন। অর্থবিত্ত থাকলেও একেবারে গোয়ার টাইপের ব্যক্তি হিসেবে সমাজে পরিচিত রফিক। বর্তমানে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও একসময় তিনি তৎকালীন মন্ত্রী মতিন চৌধুরীর ছত্র ছায়ায় রাতারাতি কোটিপতি বনে যান।

শিক্ষার আলো তার ভেতরে না থাকলেও তার অর্থের দাপটে অনেকেই ধরাশয়ী। এবার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচন করতে মুখিয়ে আছেন। আর এ ভেবেই আতঙ্কিত স্থানীয় সুধি সমাজের লোকজন। তারা বলছেন, বর্তমানে হয়তো নূর হোসেনের সাম্রাজ্য শেষ। কিন্তু আগামীতে ক্ষমতায় আসলে আরেক নূর হোসেন তৈরি হবে আন্ডা রফিক। তার মধ্যে আর নূর হোসেনের মধ্যে পার্থক্য তেমন কিছুই নেই। দুজনই মূর্খ অক্ষরজ্ঞানহীন। আবার দুজনেরই নেশা টাকা ও ক্ষমতা। এ জন্য তারা যে কোনো কিছুই করতে পারেন।

একটি সূত্র বলছে, নূর হোসেন সামান্য একজন ট্রাক হেলপার থেকে ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় অঢেল ধন সম্পদের মালিক বনেছেন। রাজত্ব করেছেন সন্ত্রাসের। বলা চলে সিদ্ধিরগঞ্জের একজন এরশাদ শিকদার ছিলেন তিনি। তার অন্যায় অত্যাচারের মাত্রা ছিল সীমাহীন। অক্ষরজ্ঞান না থাকার কারণে তিনি যাচ্ছেতাই ব্যবহার করে গেছেন মানুষের সাথে। তার মত একই দশা রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আন্ডা রফিকের । এক সময়ের ডিম ও ফলফলাদি বিক্রেতা রফিক বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকার আমলে মতিন চৌধুরীর ছত্রছায়ায় অন্যের জায়গা জমি অবৈধ দখল ও জোরপূর্বক বেচা-বিক্রির মাধ্যমে অঢেল অর্থবিত্তের মালিক বনে যান। পরবর্তীতে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি  সক্রিয় হয়ে উঠেন। কিন্তু দুই দুই বার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে পরাজিত হন। পরবর্তীতে স্থানীয় আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্যের সহায়তায় বিনা প্রতিদন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।

বর্তমানে তিনি স্বপ্ন দেখছেন সংসদ সদস্য হওয়ার।এবার রফিক ভর করেছেন ফতুল্লহা ৪ আসনের এম পি শামিম ওসমান এর উপর।ইতিমধ্যে শামিম ওসমান রফিকের বিভিন্ন প্রোগামে উপস্থিত হয়ে তাই জানান দিচ্ছে ।গত ১৫ অগাস্ট এর একটি প্রোগামে এই আন্ডা রফিক জুতা পায়ে মঞ্চে উঠলে তা অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে।  স্থানীয়রা বলছেন, রফিকের মত একজন গ-মূর্খ যদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন, তাহলে এই দেশের ভালো কীভাবে হবে? এদের না আছে অক্ষরজ্ঞান না আছে সমাজ পরিবর্তনের পরিকল্পনা। যেমন ছিল না নূর হোসেনের বেলায়। যার কারণে খুব সহজেই সে সাতটি খুনের মতো ভয়ঙ্কর একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন। এদিকে আগামীতে নূর হোসেনের উল্টো পিঠই হবেন আন্ডা রফিক এটাই এখন বলতে শুরু করেছেন অনেকে। ফলে এদের মতো মূর্খদের সমাজপতি হওয়া থেকে ফেরাতে হবে বলে মনে করছেন তারা। অন্তত দেশ ও সমাজে ভয়ঙ্কর অবস্থা থেকে উঠে আসার জন্য এটা অত্যন্ত জরুরী।