সংবাদচর্চা ডেস্ক: বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি অভিনব উপায়ে কোরআন শরীফের ভেতরে করে পাচারের সময় মাদকের একটি চালান আটক করেছে।পাশাপাশি এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
টেকনাফে বিজিবির ২য় ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল মো. আছাদুদ জামান চৌধুরী জানান, গত ১২ই মার্চ গভীর রাতে মিয়ানমারের দিক থেকে আসা একটি নৌকা বড়ইতলী এলাকায় এসে পৌঁছালে বিজিবির একটি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে।
এসময় কিছু লোক পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও বিজিবি সৈন্যরা তিনজনকে আটক করেন।এদের একজনের দেহ তল্লাশি করার সময় এক কপি কোরআন খুঁজে পাওয়া যায়।সেই কোরান খুলে দেখা যায় যে কোরানের ভেতরে কেটে সেখানে ১৫ হাজার ইয়াবা বাড়ি লুকানো রয়েছে।আটক ইয়াবার মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা হবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।
“চোরাচালানিরা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করার চেষ্টা চালায়,” বলছিলেন লে.কর্নেল মো. আছাদুদ জামান চৌধুরী, “আমাদের সৈন্যরা কোরানের প্রতি শ্রদ্ধাবশত: তা পরীক্ষা করবেনা বলেই চোরাচালানিরা মনে করেছিল।”তিনি বলেন, চোরাচালানের মাধ্যম হিসেবে কোরানের মত ধর্মীয় বস্তু ব্যবহার কক্সবাজার এলাকায় নতুন কোন ঘটনা নয়।গত ১০ই মার্চ কক্সবাজার থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয় যার মাথার পাগড়ির মধ্যে ৬০০০ ইয়াবা বড়ি লুকানো ছিল বলে লে.কর্নেল চৌধুরী জানান।
সূত্র-বিবিসি বাংলা