আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঝিকরগাছার অবৈধ ভাবে নির্মাণ হয়েছে কিং ব্রিকস্

ঝিকরগাছার

ঝিকরগাছার অবৈধ ভাবে নির্মাণ হয়েছে কিং ব্রিকস্ঝিকরগাছার

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতনিধি: ঝিকরগাছার নায়ড়া – উলাকোল মাঠে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে কিং ব্রিকস্ নামে ইট ভাটা। যার পাশেই রয়েছে ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি মাধ্যামিক বিদ্যালয়, ৪ টি মসজিদ ও ১ টি মাদরাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে শত শত একর ফসলী জমি।

এই ইট ভাটা হওয়ায় এ সকল জমিতে বিগত বছর যে ফসল উৎপাদন হত তার অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে এ ইট ভাটা হওয়ায় এক দিকে যেমন শত শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ভাটার কালো ধোয়ায় ও ধূলাবালিতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা।

জানাগেছে, সম্প্রতি ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের নায়ড়া-উলাকোল গ্রামের মাঠে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে উপজেলার রাজবাড়িয়া গ্রামের জনৈক সাখাওয়াত হোসেন আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে কিং ব্রিকস্ নামে একটি ইট ভাটা নির্মাণ করেছে। নির্মাণাধীন এ কিং ব্রিকস্ এর পাশেই রয়েছে উলাকোল প্রাথমিক বিদ্যালয়, উলাকোল আলিম মাদরাসা, নায়ড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নায়ড়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়।

এ ছাড়াও রয়েছে ৪ টি মসজিদ সহ শত শত একর ফসলী জমি। ২০১৩ সালের ইটভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। কিন্তু এই আইন অমান্য করে নির্মাণ করেছে এই ইটভাটাটি। ফলে এ ইট ভাটা হওয়ায় এক দিকে যেমন শত শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ভাটার কালো ধোয়ায় ও ধূলাবালিতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা।

উলাকোল গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, ইটভাটার পাশেই আমার ধানী জমি রয়েছে। ভাটা হওয়ার আগে বিঘা প্রতি ১৮/২০ মণ ধান উৎপাদন হতো। এখন ১০/১১ মণ ধান হচ্ছে। যা বিগত দিনের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভাটাটি পাশের এ সমস্ত শত শত একর ধানী জমির ফসল উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হলে ইটভাটাটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

স্থানীয় ভাবে ভাটা নির্মাণে বাধা দিয়ে কোন ফল না হওয়ায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। এ ব্যপারে কিং ব্রিকস্ এর সাখাওয়াত হোসেনের কাছে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যদের ইটভাটা চললে আমার টাও চলবে বলে ফোন রেখে দেয়।