ফতুল্লার তল্লা এলাকা থেকে ৬ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ইাবা ট্যাবলেটসহ এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এর সদস্যরা। মঙ্গলবার বেকল পৌনে ৩টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. আজিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তল্লা সবুজবাগ এলাকায় নিজেদের ঘর থেকে মো. বিল্লাল ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে মাদকসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় ওই দম্পতির ঘরের একটি ওয়াযরড্রপ থেকে ১৯’শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় পরিদর্শক মো. আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দম্পতিসহ পলাতক শাহ আলমের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক।
গ্রেপ্তার হওয়া বিল্লাল কুমিল্লার দাউদকান্দী গোয়ালমারী গ্রামের মৃত আলমাস মিয়া ও ফিরোজা বেগমের ছেলে, বিল্লালের স্ত্রী নাজমা বেগম ফতুল্লার তল্লা সবুজবাগ এলাকার মৃত ইদ্রিসের মেয়ে এবং পলাতক মো. শাহ আলম তল্লা সবুজবাগ এলাকার আশরাফ মিয়ার ছেলে।
পরিদর্শক মো. আজিজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদচর্চাকে জানান, আর আগেও এই দম্পতিকে মাদকদ্রব্য গাঁজাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছিলেন তিনি। তবে ইতিপূর্বে এই দম্পতি জামিনে বের হয়ে গাঁজার পাশাপাশি ইয়াবা ট্যাবলেটও সরবরাহ করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানটি পরিচালনা করে মাদসসহ তাদের হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হই।
নারায়ণগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তওে মাদক বিরোধী এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন উপ পরিদর্শক মো. নান্নু মিয়া, সহকারী উপ পরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান, সুফিয়া আক্তার, সিপাই মো. সাইদুর রহমান আকন, শরীফ হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন ও সাদিক আহম্মেদ অয়ন।
স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ী বিল্লাল ও নাজমা বেগমের মেয়ের জামাত পায়েলও তাদের মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত রয়েছে। পায়েল তল্লা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শাহীনের ডান হাত হিসেবে পরিচিত। গেল কয়েক মাস আগে তল্লা রেল লাইন এলাকায় ফতুল্লা পুলিশের একটি টহল ডিউটি করাকালে মাদক ব্যবসায়ী শাহীনের নেতৃত্বে একদল মাদক বিক্রেতা পুলিশের উপর অতির্কত হামলা করে। হামলায় তিন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়।