সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইভিএমে ভোট অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয়েছে। এ নির্বাচন দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে। বন্দর বাসী এ নির্বাচন বর্জন করেছে। এখানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বন্দর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি সলিমা হোসেন শান্তা। শান্তার প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ৯ শ ৯। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস মার্কা নিয়ে নুরুন্নাহার সন্ধ্যা পেয়েছেন ৮৮৫ ভোট৷
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির সানাউল্লা সানু। তার প্রাপ্ত ভোট ১১ হাজার ৭ শ ৮৭ । সানুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন তালা মার্কার মো. নুরুজ্জামান পেয়েছেন ১ হাজার ৭ শ ৬৪ ভোট।
জানা গেছে মাইক দিয়ে ডেকেও ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে পারে নাই প্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত এবারের বন্দর উপজেলা নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৫৮ হাজার ও নারী ভোটার সংখ্যা ৫৬ হাজার ২৬৪ জন। সেই সাথে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৫৪ টি। এর মধ্যে ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে ৪০টি কেন্দ্র এবং সাধারণ হিসেবে ১৪টি কেন্দ্র ধরা হয়েছে।
তবে ৩ হাজার ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া নিয়ে বেশ সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে মনে করছে বিরোধী দলের জয় হয়েছে। সরকারি দল ব্যর্থ হয়েছে। বিরোধীরা ভোটার আটকাতে রাখতে সক্ষম হয়েছে। আবার অনেকে বলছে ওয়ার্ড মেম্বার নির্বাচিত হতে ৩ হাজারের অধিক ভোট লাগে । ঐ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কে ওয়ার্ড মেম্বর বলে সম্বোধন করলেও লস হবে না। কারণ বন্দর উপজেলা অনেকে চেয়ারম্যান মেম্বার আছে যারা শান্তা সানুর চেয়ে অধিক ভোটে নির্বাচিত।