আজ শুক্রবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০০ ম্যাচের মাইলফলকের সামনে মাশরাফি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দারুণ এক মাইলফলকের সামনে মাশরাফি। আজ খেলতে নামলেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০০ ওয়ানডে খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন ম্যাশ।
গত বছর অবসর নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি থেকে। এখন শুধু খেলছেন ওয়ানডে। ইতিমধ্যে ১৯৯টি সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নামলেই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন নড়াইল এক্সপ্রেস।

মাশরাফির বর্তমান বয়স ৩৫ বছর। ২০০১ সালের ২৩ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় তার। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এ পর্যায়ে এসেছেন তিনি। দীর্ঘ সময় যুদ্ধ করতে হয়েছে ইনজুরির সঙ্গে। এর মধ্যে ১৯৯ ম্যাচে ৪.৮২ ইকোনমিতে ২৫২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে ওয়ানডেতে এখন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের (২৫২) রেকর্ড এটি। এ পথে ৫ উইকেট পেয়েছেন একবার, ৪ উইকেট রয়েছে সাতবার এবং সেরা বোলিং ফিগার ২৬/৬।

১৯৯ ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার ওপরে মাশরাফি। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন মুশফিকুর রহিম। তিনি খেলেছেন ১৯৫টি ওয়ানডে ম্যাচ। ১৯২ ওয়ানডে খেলে তৃতীয় সাকিব আল হাসান।

তবে নিজের এ মাইলফলকের কথা মনেই ছিল না মাশরাফির। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গ উঠলে মাশরাফি বলেন, ‘ধন্যবাদ বিষয়টি মনে করানোর জন্য। আমার আসলে খেয়াল ছিল না। আমি আগেও বলেছি, এগুলো আমাকে টাচ করে না। এগুলো আমার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণও না।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক পরিষ্কার জানিয়ে দেন তার ভাবনায় এখন শুধুই আজকের ম্যাচ। সে ম্যাচে জিততে পারলেই রঙিন হবে তার ২০০ ম্যাচের মাইলফলক। তাই সবার আগে শুধু ম্যাচের কথাই ভাবছেন মাশরাফি।

‘আমার কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কালকের ম্যাচটা জেতা। তবে একদিক থেকে ভালো লাগছে যে, বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০০তম ম্যাচ হচ্ছে। এটা অবশ্যই ভালো লাগবে একটা সময়। যখন মানুষ বলবে, তুমি বাংলাদেশের হয়ে ২০০টা ম্যাচ খেলেছ। এটা অবশ্যই একটা অর্জন। ওই জায়গা থেকে অবশ্যই ভালো লাগবে। কিন্তু কালকের ম্যাচের উপরে আর কিছুর গুরুত্ব একেবারেই নাই। এটা চিন্তা করে খেলার সুযোগ নেই। কালকের (আজকের) ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে জিততে হবে এটাই।’

‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি ব্যাটটাও নেহাত মন্দ চালাননি ক্যারিয়ারজুড়ে। প্রায় ৯০ স্ট্রাইকরেটে তার নামের পাশে রয়েছে ১৭২২ রান। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা ৫১ রানের। ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে মাত্র ১৬ বলে খেলেছিলেন ৪৪ রানের টর্নেডো ইনিংস, যা কিনা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের কমপক্ষে ১০ বল খেলা ইনিংসগুলোর মধ্যে সেরা স্ট্রাইকরেটের ইনিংস।