চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদসহ রাজনৈতিক সহকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ শহরে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ প্রধান সড়কগুলোতে মশাল মিছিল করে গণসংহতি আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। এর আগে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে তাৎক্ষনিক সমাবেশের ডাক দেন তারা।
প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, নারী সংহতি আন্দোলনের সদস্যসচিব পপি রানী সরকার, যুব অধিকার পরিষদের জেলার আহ্বায়ক প্রকৌশলী নাহিদ হোসেন, ছাত্র অধিকার কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, জেলা কমিটির সভাপতি আরিয়ান রিপন, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাসান, ছাত্র ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ইলিয়াস জামান, সাবেক সভাপতি শুভ দেব।
বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ব্যাপক হতাহতদের ঘটনায় বিএম ডিপো পরিদর্শনে যান গণসংহতি আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আহতদের দেখতে যান তারা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সামনে দুই দলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়।
সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে অভিযোগ করে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান স্বাধীনতার স্লোগান। অথচ এই স্লোগানকে ভীতিকর স্লোগান হিসেবে রূপান্তরিত করেছে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা। হামলা দিয়ে জনগণের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না। সরকার সাধারণ মানুষকে ভয়ঙ্কর নাভিশ্বাসের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। যারা হামলা করছেন তারা কখনও জনগণের পক্ষের শক্তি হতে পারে না। ক্ষমতার মসনদে বসে মুরগি খাবেন আর জনতা না খেয়ে মরবে; এটা হতে দেওয়া হবে না। নারায়ণগঞ্জের এই আগুন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। এই আগুন ক্ষমতার মসনদকে তছনছ করে দেবে।