সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
তারাব পৌরসভার প্রথম মহিলা মেয়র রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাছিনা গাজী। তিনি সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন। তার সেই জনপ্রিয়তা এখনো রয়েছে। তিনি ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ঋণগ্রস্ত তারাব পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি তারাব পৌরসভাকে ঋণমুক্ত করেন। এটা তার নেতৃত্বে বড় সফলতা। এরপর তিনি মাদক , চাঁদাবাজ সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিময় পৌরসভা গড়তে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ছুটে বেড়ান। নিয়ে আসেন একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প। তিনি পৌরবাসীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরবান হাসপাতাল উদ্বোধন করেছেন। সেখান থেকে বহু মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। পৌরবাসীর বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছেন। গন্ধর্বপুরে বাস্তবায়ন হচ্ছে পানি শোধনাগার। সেখান থেকে পৌরসভার প্রত্যেক ঘরে ঘরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি পৌছে যাবে। হাছিনা গাজীর পূর্ববর্তী মেয়ররা যে উন্নয়ন কাজ করতে পারেন নাই তা তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করেছেন। পৌরসভায় কোনো তথ্য ও অনুসন্ধান কেন্দ্র ছিলো না বর্তমানে তথ্য ও অনুসন্ধান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। নতুন ২য় তলা পৌর ভবন নিমাণসহ পুরাতন ভবনকে সম্প্রসারণ করে ৩য় তলা করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের ফলে ঢাকার চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে তারাব। একটি গার্ভেজ ট্রাকের পরিবর্তে ৬ টির বেশি ট্রাক ও শতাধিক পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাস্তা ঘাট পাকা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য তিনি নিজস্ব অর্থে পানির পাম্প স্থাপন করে দিয়েছেন। নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্করণ হচ্ছে। খাল খনন ড্রেন নির্মাণ সড়কে বাতি স্থাপন করেছেন। পানি সরবরাহ প্রকল্পের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১ একর জমি ক্রয় করা হয়েছে। পৌরসভায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মানের জন্য সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। পৌরসভা আলোকসজ্জা করা হয়েছে। দারিদ্র বিমোচনের জন্য মহিলাদের সেলাই মেশিন প্রদান এবং প্রশিক্ষণ ও মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বয়স্কভাতা বিধবাভাতা স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা প্রতিবন্ধী মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সকল প্রকার ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ শিশু ও নারী নির্যাতন হ্রাস পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে রাজনীতিতে নারীদের সক্রিয়তা। মশা নিধন অব্যাহত রয়েছে। তারাব পৌরসভাকে ই- সেবার আওতায় নিয়ে এসেছেন হাছিনা গাজী। তারাব পৌরসভার ডিজিটাল মিউনিসিপালিটি সার্ভিস সিস্টেম এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এই ডিজিটাল মিউনিসিপালিটি সার্ভিস সিস্টেম এর মাধ্যমে এখন থেকে তারাব পৌরবাসী ঘরে বসে ৫ টি নাগরিক সেবা সম্পাদন করতে পারছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবার আওতায় এসেছে পৌরসভা। নগরবাসী পেয়েছে স্মার্টকার্ড। নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ পৌরসভায় ডে -কেয়ার সেন্টার চালু করা হয়েছে । ৫০০শ আসন বিশিষ্ট হাছিনা গাজী পৌর অডিটোরিয়াম নিমাণ হচ্ছে। যা নারায়ণগঞ্জের অন্য কোথাও নেই।
বাজেট বাস্তবায়নে হাছিনা গাজী স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি জনগণের মুখোমুখি হয়েছেন নিয়মিত। পাঁচ বছরে তিনি জনকল্যাণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে পৌরবাসীর প্রশংসা পেয়েছেন। শিল্পমালিকদের সাথে তার সু সম্পর্ক রয়েছে। তারাব পৌরসভা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি মেয়রের কাজে মুগ্ধ হয়েছেন। যার ফলে সরকার বিশেষ প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছে । যেমন সিআরডিপি,ইউজিআইপি৩, বিএমডিএফ, ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড স্যানিটেশন, আরবান আইসিটি প্রকল্পে নতুন করে অন্তরভূক্ত হয়েছে। তিনি নির্বাচনের আগে জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার দ্বিগুনেরও বেশি কাজ বাস্তবায়ন করেছেন । নাগরিকদের উপর কর আরোপ করেন নাই। পৌরসভা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌর মেয়র হাসিনা গাজী নিয়মিত কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি কার্যক্রম চালিয়ে যান। পৌরবাসী নিজেদের অসুবিধা- সুবিধা নিয়ে মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। পৌরসভার মাধ্যমে সমাধানযোগ্য হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। প্রয়োজনে আর্থিক সহযোগিতা ও সমাধানের পথ দেখিয়ে দেন। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রণ পাওয়া মাত্র অংশ নেন। তাছাড়া কাজের জন্য তিনি বঙ্গমাতাসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন ।
২০১৮/১৯ অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়নে দেশের বাঘা বাঘা পৌরসভাকে পেছনে ফেলে প্রথম হয় তারাব পৌরসভা।
আগামী ১৬ জানুয়ারি ( ২০২১ ) তারাব পৌরসভার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে। এবার নির্বাচনে তারাব পৌর মেয়র হাছিনা গাজী অংশ নেবে। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তারাব পৌর আওয়ামী লীগ তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। হাছিনা গাজী তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য তার দলের সমর্থন ও তারা পৌরবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। মেয়র হাছিনা গাজী জানান , এবার তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে তারাব পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে রূপান্তর করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। মেয়র বলেন, যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন পৌরসভার কিছুই ছিলো না।
এদিকে করোনাকালে তিনি পৌরবাসীর পাশে ছিলেন। তার সহায়তা অনেকেই পেয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের অভিযোগ নেই। তারাব পৌরসভায় তার বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। তিনি নারী ভোটারদের প্রথম পছন্দ।