আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হযরত শব্দের প্রকৃত অর্থ

জাতীয় সংসদের হুইপ ও জয়পুহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সম্প্রতি সংসদে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। সেই বক্তব্যে তিনি হযরত বলে শেখ হাসিনাকে সম্বোধন করেছেন। তাতে একটি চক্র সমালোচনা করেছেন। আর শেখ হাসিনাকে হযরত বলার কিছু কারণ রয়েছে । যেমন শেখ হাসিনা তার শাসন আমলে কওমী মাদ্রাসাকে সরকারি স্বীকৃতি দিয়েছে। যা অতীতে কোনো সরকার করতে পারে নাই। তিনি নির্মাণ করেছেন প্রায় ৫০০ অধিক মসজিদ। তিনি মদিনা সদনের আলোকে রাষ্ট্রপরিচালনা করেন। তিনি অনুসরণ করেন হযরত উমর (রা)।

হযরত শব্দ:

হযরত (Ḥaḍrah, আরবি: حضرة‎‎) হল সম্মানসূচক আরবি উপাধি। এর শাব্দিক অর্থ “উপস্থিত”। উচ্চ মর্যাদার ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পশ্চিমা সম্মানসূচক উপাধি যেমন “Your Honour” (বিচারকদের জন্য), “His/Her Majesty” (রাজকীয় ব্যক্তির জন্য) বা “তার পবিত্রতা” (ধর্মীয় ব্যক্তির জন্য) নামক উপাধির সাথে এর মিল রয়েছে। তুর্কি ও বসনিয়ান ভাষায়ও এই শব্দটি রয়েছে। যার ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান আছে তার নামের সাথে হযরত   শব্দটি ব্যবহার করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে শেখ হাসিনা কি উচ্চ মর্যাদার ব্যক্তিদের নয়? তার কি ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান নেই ?

ব্যক্তির নামের সাথে হযরত ব্যবহারের উদাহরণ হল: হযরত উমর, হযরত উসমান এবং হযরত আলী, হযরত ফাতিমা (রা) , হযরত মাওলানা আল্লামা আহমাদ শফী…. ইত্যাদি।