আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিয়াম হত্যায় মুখ খুললেন নিহতের মা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: 

পিছন থেকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে টার্গেট সাগর এর আরেক জন ঘারে আঘাত করে ও কমরের ইট দিয়ে আঘাত করে। এর একজন হাত বাধে ও আরেকজন পা বেধে ছিল। অনেক মারধর করার পর শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে আমার সোনা মনিকে গতকাল কান্নায় আহাজারি করতে করতে এসব কথা বলেন ২৮ জানুয়ারী সকালে উদ্ধার হওয়া নিহত হোসিয়ারী শ্রমিক সিয়ামের মা শিউলি বেগম।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলের মোবাইলটি পছন্দ করতো খুনী টার্গেট সাগর সে সিয়ামের কাছ থেকে স্মাট ফোনটি প্রায় সময় নিতে চাইতো। সিয়াম তাকে ফোন না দেয়ার কারনে সে প্রায় সময় সিয়ামের সাথে ঝামেলা করতো। সিয়ামকে যেদিন হত্যা করে সে এই খুনী টার্গেট সাগরও ছিল পরিকল্পনাকারী।
শুধুমাত্র হাতের একটি বেসলেট নয় সাথে স্মাট মোবাইলও ছিল। হত্যাকারীরা মোবাইল ও বেসলেটের দ্বদ্বের জের ধরেই হোসিয়ারী শ্রমিক সিয়ামকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে গ্রেফতারকৃত সিয়ামের বন্ধু হত্যার সাথে জড়িত ও আরো ৫ জনের একটি কিলিং মিশনের দল ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি প্রধান করে। গত (২৯ জানুয়ারি) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় নিলয়ের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করা হয়। এতে সিয়াম হত্যার দায় স্বীকার করে তার ৫ বন্ধুর নাম প্রকাশ করেছিল নিলয়।
নিহত সিয়াম ফতুল্লার দেওভোগ লিচুবাগান এলাকার মসজিদ গলিতে অবস্থিত হামিদার বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহেল মিয়ার ছেলে। সে শহরের উকিলপাড়া এলাকায় অবস্থিত আজিজুর রহমানের হোসিয়ারীর কারখানায় কাজ করতো।
সিয়ামের বাবা সোহেল মিয়া বাদি হয়ে নিলয়কে প্রধান আসামি করে আরো ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ২৮ জানুয়ারী দুপুরেই নিলয়কে গ্রেফতার পুলিশ। এর পর আরো কয়েকজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব ও পুলিশ। তবে সাগর এখনো পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদক মোস্তাফিজুর রহমান জানায়, মামলার দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন আসামী গ্রেফতার রয়েছে আশা রাখা যায় দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামী সাগরকেও গ্রেফতার করা হবে।