সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেছেন, ‘এই সরকার ১৪ বছরে নিয়ন্ত্রিত বিচার ব্যবস্থা কায়েম করেছে। যে নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় বেছে বেছে রাজনৈতিক প্রয়োজনে গুটি কয়েক বিচার করছে। দেখাচ্ছে দেশে বিচার ব্যবস্থা আছে। প্রকৃতপক্ষে যে অপরাধের সাথে সরকার দলীয় ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা আছে, তারা থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে। সকরকার প্রতিপক্ষকে দমানোর জন্য বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করছে। সরকারের ছত্রছায়ায় যারা থাকছে তারা বিচারের আওতায় আসছে না।’
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চাষাড়া শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোকপ্রজ্জ্বলন কার্যক্রমে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গিয়ে ভোটের অধিকার ধ্বংস করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সংবিধান সংযোজনের মধ্য দিয়ে দলীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু করে আজীবন ক্ষমতায় থাকার সাংবিধানিক প্রক্রিয়া চালু করেছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, এমপিরা ভালো আছে। এর বাইরে সবাই দুর্বিষহ অবস্থায় আছে। এক এমপি আরেক এমপিকে দেখে। তারা সামনে-পিছে বাহিনী নিয়ে চলে, জনগণের দিকে তাকায় না। আমরা এ অবস্থার পরিবর্তন চাই। আমরা চাই এই সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন করে ভোটাধিকার নিশ্চিত করুক। গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান অধিকার পূরণ হয় না।’
রফিউর রাব্বী বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে প্রায় অর্ধশত মানুষ মারাগেল। এখানে কারো দায় নাই! হত্যাকারীরা যখন সরকারের ছত্রছায়ায় থাকে তখন আইনের আওতায় আসে না। আমরা রূপগঞ্জে হাসেম ফুড, তল্লা অগ্নিকাণ্ডে দেখেছি আদালত থেকে আপরাধীরা জামিন পেয়ে যায়, মামলা টেকে না, দায় কেউ নিতে চায় না। সরকারি সংস্থার কারণে এ হত্যাকান্ড হচ্ছে। সরকার এদের পাহাড়া দিচ্ছে তাই এর কোনটার বিচার হচ্ছে না।’ তিনি সীতাকুন্ড অগ্নিকান্ড, ত্বকীসহ সকল হত্যার বিচার দাবী করেন।
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী সংকর রায়ের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব কবি হালিম আজাদ, সিপিবি জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, বাসদ জেলা সদস্য সচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা প্রমুখ।