আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হকার ও শামীম ওসমানকে নিয়ে যা বললেন সেলিম ওসমান

হকার ও শামীম ওসমানকে নিয়ে যা বললেন সেলিম ওসমান

হকার ও শামীম ওসমানকে নিয়ে যা বললেন সেলিম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বিকেএমইএ এর সভাপতি সেলিম ওসমান বলেছেন, সভায় আসার সময় দেখলাম বিরাট বড়ো আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীরা বলছে, আমরা হকার বসতে দিচ্ছি না। আমাদের মেয়র কিন্তু একটা কথাই বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সড়ক বাদ দিয়ে হকার বসতে হবে। পরিষ্কার কথা, বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার বসবে না। এই সড়কের ফুটপাতে হকার বসলে মানুষের দুর্ভোগ যে কী পরিমানে বাড়ে তা এই আন্দোলনকারীরা চিন্তা করে না। রমজান মাসে তাদের আয়ের কথা চিন্তা করে আমরা এ নিয়ে বসবো। যদি মনে হয় শুক্রবার ৫টার পরে তাদের বসতে দিলে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের মঙ্গল, তবে আমরা তা ভেবে দেখবো।
রবিবার বেলা ১২ টায় জেলা প্রশাসকের সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আন্দোলনরত হকারদের নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিম ওসমান আরো বলেন, আমরা মেয়রের সঙ্গে আলাপ করে দেখবো রমজানের ৪টা শুক্রবার ৫ টার পরে বসা যায় কি না। কিন্তু সমস্যা হলো এই হকারদের একবার বসতে দিলে তারা আর উঠতে চায় না। আমরা আগে নগরবাসীর চলাচলের সুবিধা কথা ভেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো। এখন তারা যত বড়ো আন্দোলনই করুক না কেন, কয়েকশ’ হকারের জন্যে নগরবাসীর দুর্ভোগ সহ্য করা হবেনা।
তার ছোটভাই শামীম ওসমানের গডফাদার খেতাবের ব্যাখ্যা দিয়ে সেলিম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান একটি উদ্যোগ নিয়েছিল। সেটি হলো, নারায়ণগঞ্জে ৪০০ বছরের কলঙ্ক পতিতালয় উচ্ছেদ করতে হবে। এটা শামীম ওসমান একা করেননি। শামীম ওসমান মানুষকে সংঘবদ্ধ করতে পেরেছিল। সংঘবদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এতো বড় একটা খারাপ জায়গাকে সে উদ্ধার করতে পেরেছিল। আর এই পতিতালয় উচ্ছেদের পরিপ্রেক্ষিতে সে একটা টাইটেলও পেয়েছিল-গডফাদার!

তিনি আরো বলেন, পতিতালয় উচ্ছেদের কারনে টানবাজারের মানুষ এখন শান্তিতে থাকতে পারছে, ব্যবসায়িরা ব্যবসা করতে পারছে। এখন আর কেউ টিটকারি মেরে বলে না, কই যাও, টানবাজার? আর এটা হয়েছে তাঁর জন্য। তাই আমি আজকের এ সভায় শামীম ওসমানকে ধন্যবাদ জানাই। এতে যে গডফাদার টাইটেল সে পেয়েছে তাতে কিচ্ছু আসে যায় না। আমি জানি, যারা এ উচ্ছেদ দেখেছেন তারা মন্দিরে বসে প্রার্থনা করেন, মুসলমানেরা আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। কিন্তু তারপরেও দেখা যায়, কোথাও কোথাও আবার এ

ধরনের উস্কানিমূলক কিছু চিন্তাভাবনা চলতে থাকে। এগুলো প্রতিহত করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
আসন্ন রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা, নিরাপদ খাদ্য, ভেজাল, দূষন, দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি রোধে সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া। উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ হোসনে আরা বাবলি, পুলিশ সুপার মঈনুল হক, সিভিল সার্জন সহ জেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা বৃন্দ।