আজ রবিবার, ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যেন স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় না থাকে’

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করার সময় যেন স্বাধীনতাবিরোধী ও খুনী রাজাকাররা ক্ষমতায় আসতে না পারে। তারা ক্ষমতায় আসলে দেশকে ধ্বংস করে দেবে।

বুধবার বিকেলে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সমগ্র দেশবাসীকে এই আহ্বান জানাব যে, আমরা যখন ২০২১ সালের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। সেই সময় যেন ওই যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী খুনী রাজাকার এবং যারা অগ্নি সন্ত্রাসকারী তারা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। তাহলে তারা দেশকে ধ্বংস করে দিবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দেবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে পিতা-মাতা, ভাই হারা আমি। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি দেশের সেবা করার সুযোগ পাই। আমার আপনজন বলতে আছে একটা ছোট বোন আর আছেন আপনারা। আপনারাই আজকে আমার আপন জন হয়ে সেই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আরেকটি বার দেশ সেবার সুযোগ করে দেবেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এটা আমার প্রথম নির্বাচনী সভা। কাজেই এই সভা থেকেই আমি সমগ্র দেশবাসীর কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। জনগণের সেবা করতে চাই, বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। জাতির পিতার স্বপ্ন আমি পূরণ করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন। নৌকায় ভোট দিলে কেউ কখনও বঞ্চিত হয় না। ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ আজকে বাস্তব। কাজেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। বাংলাদেশ যেন বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে চলতে পারে। আমি সেই সুযোগ দেশবাসীর কাছে চাই।’

বিদায় বেলায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুধু বিদায়ের আগে এইটুকু বলে যাই-নিঃস্ব আমি রিক্ত আমি দেবার কিছু নেই। আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই।’

গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গীপাড়া) আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এ আসন থেকে নির্বাচন করে বেশ কয়েকবার বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চিত্রনায়ক রিয়াজ ও ফেরদৌস, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান প্রমুখ।

এ নির্বাচনী জনসভার মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি। বিকেল ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জনসমাবেশস্থলে আসেন। এর আগে সকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে টুঙ্গীপাড়ায় যান শেখ হাসিনা। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এরপর ফেরার পথে বেশ কয়েকটি নির্বাচনী পথসভায় অংশ নেন।