আজ বৃহস্পতিবার, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্ত্রীর সহযোগিতায় নিজের নাবালিকা শ্যালিকাকে ধর্ষণ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

স্ত্রীর সহযোগিতায় নিজের নাবালিকা শ্যালিকাকে ধর্ষণ করেছে দুলাভাই । পরে শ্যালকের শিশুকন্যাসহ ৩ জনকে অপহরণ করা হয়। এমন অভিযোগের ২ ঘন্টা পর তাদের উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৪। ২৫ জানুয়ারি  সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিকালে  র‌্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল সহকারী পুলিশ সুপার সাগর দিপা বিশ্বাস এর নেতৃত্বে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন ব্যাংক কলোনী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে  ধর্ষক মো: সাহেব আলী(৩৪) এবং ধর্ষণে সহযোগী তার নিজ স্ত্রী মোছাঃ জেসমিন খাতুন (২৫) (ভিকটিমের নিজের বোন) কে গ্রেফতার  করে।  উক্ত আসামী দ্বয়ের মাধ্যমে অপহৃত হওয়া জেসমিন আক্তার এর আপন ভাই মো: রুবেল (২২) এর শিশুকন্যা ঝর্ণা আক্তার (০২) , আপন বোন সেলিনা খাতুন ( ২৮) এবং আপন চাচাতো ভাই মো: জয়নাল আবেদীন (১৮) কে আসামীদ্বয়ের ভাড়াবাসার কক্ষ হতে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি র‌্যাব -৪ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে।

ঐ স্ট্যাটাসে র‌্যাব -৪ জানান, আসামী মো: সাহেব আলী(৩৪) এবং তার স্ত্রী মোছাঃ জেসমিন খাতুন (২৫), ২০১৮ সালে তাদের নিজেদের সন্তান কে দেখাশোনা করার জন্যে জেসমিন খাতুন এর নিজের নাবালিকা ছোট বোন (ভিকটিম) কে সিলেট থেকে নিজেদের বাসায় নিয়ে আসে এবং জেসমিন খাতুন নিজে বোনকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নিয়মিত স্বামীকে নিজের বোনকে ধর্ষণ করতে সহযোগিতা করে। পরবর্তী সময়ে শিশুটি সাহস করে তার বাবা মা কে সুযোগ বুঝে বিষয়টি জানায় এবং মা বাবা শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কিন্তু ধর্ষক দুলাভাই ও বোন ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে ভিকটিমকে আবার জিম্মি করার উদ্দেশ্য ভিকটিমের বড় ভাই এর শিশুকন্যা কে সিলেট থেকে অপহরণ করে নিয়ে আসে। ভিকটিমকে তাদের হাতে পুনরায় তুলে দিলে, শিশুকন্যা কে ফেরত দেওয়া হবে, নাহলে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। এদিকে শিশুকন্যা টিকে উদ্ধার করতে আসা ভিকটিমের বড় ভাই মো: রুবেল মিয়া ( শিশুটির বাবা) , বড় বোন সেলিনা খাতুন এবং চাচাতো ভাই মো: জয়নাল আবেদীন কে নিজেদের ভাড়াবাসার কক্ষে আটক করে রাখে এবং মারধোর করে। সুযোগ বুঝে ভিকটিমের বড় ভাই মো: রুবেল পালিয়ে এসে র‌্যাব -৪ এ অভিযোগ জানায়।

উপরোক্ত বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।