আজ শুক্রবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনারগাঁয়ে ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়ণে মঙ্গলবার স্কুল ছাত্রী মারিয়ার খাদ্য নালী অপারেশন

সোনারগাঁয়ে ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়ণে মঙ্গলবার স্কুল ছাত্রী মারিয়ার খাদ্য নালী অপারেশন

সোনারগাঁ প্রতিনিধি
সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী মারিয়া আক্তার। গত কয়েক মাস পূর্বে পিতৃহারা এই স্কুল ছাত্রীর খাদ্য নালীতে ইনফেকশন দেখা দেয়। এসময় অসুস্থতার কারণে তার স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের ক্ষমতা না থাকায় তার মা মোসলেমা আক্তার এলাকার বিত্তশালীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকেন। এসময় তাদের পাশে দাঁড়ায় উপজেলার সেবামূলক সংগঠন ‘ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন সোনারগাঁ’।

ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন সোনারগাঁ’র চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল জানান, ১ম শ্রেণির ছাত্রী মারিয়ার বাবা আব্দুন নূর প্রায় দেড় বছর পূর্বে মারা গেছেন। এরপর থেকে মারিয়ার মা মোসলেমা আক্তার অতিকষ্টে সংসার পরিচালনা করে আসছেন। কিছুদিন পূর্বে মারিয়ার খাদ্য নালীতে ইনফেকশন দেখা দেয়ায় চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন দেখা দেয়। যার যোগান দেয়া তার অসহায় মায়ের পক্ষে সম্ভব ছিলো না। তাই তিনি সহযোগিতার আশায় এলাকার বিত্তশালীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বলে খবর পেয়ে ‘ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন সোনারগাঁ’র পক্ষ থেকে আমরা তার সাথে যোগাযোগ করি। এরপর থেকে মারিয়ার চিকিৎসা বাবদ যাবতীয় খরচ বহন করছে ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন সোনারগাঁ। ২ অক্টোবর মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারিয়ার খাদ্য নারীতে অপারেশন হওয়ার কথা রয়েছে। তাই রবিবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মারিয়ার সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।

এদিকে মারিয়ার মা মোসলেমা আক্তার জানান, দেড় বছর পূর্বে মারিয়ার পিতা আব্দুন নূর যখন অসুস্থ ছিলেন তখনও ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন সোনারগাঁ’র পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। এই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার দরিদ্র ও অসহায় মানুষদেরকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। অসংখ্য চক্ষু রোগীকে তারা বিনামূল্যে চিকিৎসা, অপারেশন ও ঔষধের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া ঈদের সময় তারা ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন। এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থানের উন্নয়ণে তাদের অবদান রয়েছে। সমাজের বিত্তশালীরা যদি এভাবে দরিদ্রদের প্রতি আন্তরিক হতেন তাহলে বিনা চিকিৎসায় আর কেউ মারা যেত না।