
সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ বাড়ির সিমানা নিয়ে বিরোধের জেরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার চৌরাপাড়া গ্রামে গতকাল শনিবার দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী সহ দুপক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের চৌরাপাড়া গ্রামের সিরাজুল হকের সঙ্গে একই গ্রামের আসামদী মিয়ার সঙ্গে বাড়ীর সিমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল শনিবার সকালে দু’জনের মধ্যে বাক বিতন্ডতা হয়। এ জের ধরে ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত সদস্য হেনা আক্তারের নির্দেশে আসামদী মিয়া, জয়নাল আবেদীন ও নারী সদস্যের দুই ছেলে সহ ৮/১০ জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী শাবল, লোহার রড়, ছোড়া, লাঠি সহ দেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে সিরাজুল হক ও তার আত্মীয় আলমগীর হোসেন, মোজ্জাম্মেল হক, সূরুজ মিয়া ও বিলকিস বেগমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। পরে সিরাজুল হকের লোকজন একত্রিত হয়ে হামলা চালিয়ে আসামদী ও জয়নাল মিয়াকে পিটিয়ে আহত করে। এতে দু’পক্ষের নারী সহ কমপক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাড়ীর সিমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আমার সঙ্গে আসামদী মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে নারী সদস্য হেনা বেগমের নির্দেশে সন্ত্রাসী আসামদী ও জয়নাল মিয়ার নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আমাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করা হয়েছে। এদিকে আসামদী মিয়া ও জয়নাল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, সিরাজুল হকের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছেন।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথকভাবে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

