বিশেষ প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসের মধ্যে পাড়া মহল্লায় বিভিন্ন সেলুন এখনো নিরাপত্তাবিধি না মেনেই কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই একই দোকানে একাধিক ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে আড্ডা জমাচ্ছেন এবং সেলুনে আসা ব্যক্তিরা নিজের চুল দাড়ি কামিয়ে নিচ্ছেন। একই কাপড় একাধিক ব্যক্তির গায়ে জড়িয়ে চুল দাড়ি কাটায় ভয়ংকর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন সেবা গ্রহীতা। একই ভাবে একাধিক ব্যক্তির চুল দাড়ি কামানো নাপিতের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পরতে পারে মরনঘাতী এই ভাইরাস।
সরজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার সেলুন গুলোতে নেই সচেতনতার বালাই। ইচ্ছেমত একই কাপড় পালটে পালটে চুল দাড়ি কামিয়ে যাচ্ছেন নাপিত। সেলুনে প্রবেশের আগে নেই জীবাণুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা। কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে সাবান দিয়ে হাত ধুলেও অনেকেই সেসব আমলে নেন না। ইচ্ছেমত চলাফেরা করে এসে ঝুঁকি নিয়েই বসে পরেন সেলুনে।
অন্যদিকে নরসুন্দরের নিত্যনৈমেত্তিক কাজেও নেই সচেতনতার ছাপ। করোনার কারনে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশজুড়ে তার বিন্দুমাত্র ছিটেফোঁটা নেই তাদের ভেতর। উল্টো উপরওয়ালার উপর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে হাসিমুখে চালিয়ে যাচ্ছেন চুল দাড়ি কামানোর কাজ। সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের মুখেও নেই করোনা বিষয়ক দুশ্চিন্তার ছাপ। স্পস্টতই বোঝা যায় সব কিছু জানা স্বত্বেও তারা স্বাস্থ্যবিধি মানতে মোটেও রাজি নন।
দোকান খোলা রাখা এক সেলুন মালিক জানান, আমরা আমাদের মত কাজ করে যাচ্ছি। যেভাবে সচেতনতার কথা বলা হচ্ছে তাতে অনেক খরচ। এমনিতেই দোকানের ভাড়া দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। কাস্টমার আগের তুলনায় কম। তারা তো আর বাড়তি টাকা দেয়না যে তাদের জন্য বেশী খরচ করে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব না। কেউ কেউ সম্মতিসূচক মাথা নাড়িয়েই প্রতিবেদককে বলেন দোকান বন্ধ রাখার কথা।
তবে সচেতন নাগরিকদের মতে। এসকল ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর হবার বিকল্প নেই। শুধুমাত্র মৌখিক সিদ্ধান্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে নিয়মিত তদারকি করা গেলে অসচেতন বেশীদিন থাকা সম্ভব হবে না। বিশেষ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলে এসকল বিষয়ে পরিবর্তন আসতে পারে।